Advertisement
Advertisement
পরিযায়ী শ্রমিক

বাসস্থান-খাবারের বন্দোবস্ত, কৃতজ্ঞতা জানাতে স্কুল রং করলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা

কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভঙ্গিমা মন ছুঁল সকলের।

Quarantined migrant workers paint walls of Rajasthan schools
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 23, 2020 12:46 pm
  • Updated:April 23, 2020 12:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে আটকে পড়েছেন তাঁরা। কীভাবে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হবে, তা ভেবে মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল তাঁদের। কিন্তু বিপদের দিনেই আসল বন্ধু মেলে! তাই তো বন্ধুর মতো হাত বাড়ি দিয়েছিলেন রাজস্থানের শিকারের পালসনার বাসিন্দারা। একদল পরিযায়ী শ্রমিকের স্কুলেই করে দিয়েছিলেন থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা। অন্ধকারে আলো হয়ে যেন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। সেই সাহায্যকারীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না বিপদগ্রস্ত। যে স্কুলটিতে রয়েছেন, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেটি রং করে দিলেন উপকৃতরা।

পালসানার শহিদ সীতারাম কুমাওয়াত এবং শেঠ কেএল তাম্বি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ই অস্থায়ী ঠিকানা ওই ৫৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। তাঁরা পেটের দায়ে কেউ গিয়েছিলেন হরিয়ানায় কাজ করতে। কেউবা আবার রাজস্থান। কেউ কর্মসূত্রে থাকতেন মধ্যপ্রদেশ তো কেউ উত্তরপ্রদেশে। তাঁরা বর্তমানে ওই দুটি স্কুলেই রয়েছেন। লকডাউনে অন্যরকমভাবে সেখানেই জীবন কাটছে তাঁদের। সম্প্রতি পারভিন কাসওয়ান নামে এক বনাধিকারিক সেই ছবি টুইট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “লকডাউনের মাঝে একটি অন্যরকম ছবি। মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকেরা শিকারের পালসনায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওই স্কুলটি রং করে দেন। এই মানুষরাই যেন নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রাণায়াম হারাতে পারে করোনাকে, নিয়মিত অভ্যাসের পরামর্শ কোভিড-১৯ যুদ্ধ জয়ীর]

রং উঠে জরাজীর্ণ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল স্কুলটির। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতের ছোঁয়ায় আবারও যেন নতুন রূপ পেয়েছে গোটা স্কুল। স্থানীয়রা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁরা বলেন, “স্কুলটা একেবারে নতুন তৈরির মতো হয়ে গিয়েছে। এটা দেখে খুব ভাল লাগছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন যদি সকলে এমন কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত হয়ে যায় তবে লকডাউন অমান্য করতে হবে না কাউকেই।” ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সম্পাদক জগত সিং পানওয়ার ওই স্কুল পরিদর্শন করেন। তিনিও পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রশংসা না করে পারছেন না। স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল রাজেন্দ্র মিনা এবং অন্যান্য শিক্ষকরাও পরিযায়ী শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। নেটদুনিয়াতেও এই শ্রমিকদের চলছে জোর চর্চা। বিপদের দিনেও তাঁদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পদ্ধতি মন ছুঁয়েছে নেটিজেনদের।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement