সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার প্রয়োজন নেই, বদলে খাতা পিছু ১০০ টাকা দিয়ে এলেই চলবে।” এমনই নিদান দিলেন উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলের প্রিন্সিপাল। এমনকী, কী উপায়ে পড়ুয়ারা বোর্ডের পরীক্ষায় টুকলি করবে, তাও বাতলে দিয়েছেন ওই অধ্যক্ষ। এই আলোচনা সভায় হাজির ছিলেন বেশকিছু অভিভাবকও। তাঁরাও ওই অধ্যক্ষের ‘ভোকাল টনিক’-কে বাহবা দিয়েছেন। গোটা ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল এক পড়ুয়া। তারপরই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার থেকে উত্তরপ্রদেশে সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর কয়েকদিন আগে মউ জেলার একটি বেসরকারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটে। সেই স্কুলের প্রিন্সিপাল প্রবীন মল। পরীক্ষার আগে ছাত্রদের ভোকাল টনিক দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানে পড়ুয়াদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন অভিভাবকরা। তাঁদের সামনে টুকলির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছিলেন প্রবীণ বাবু। কী বলেছেন তিনি?
দু’মিনিটে অডিও ক্লিপে প্রবীণ মলকে বলতে শোনা যায়, “আমি চ্যালেঞ্জ করে বলেতে পারি, স্কুলের কোনও ছাত্র অকৃতকার্য হবে না। তাঁদের ভয় পাওয়াক কোনও কারণ নেই।” এরপরই তিনি বলেন, “তোমরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে পার। কেউ কারোর খাতা ধর না। যে সরকারি স্কুলে তোমরা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে, সেই স্কুলের শিক্ষকরা আমার বন্ধু হয়। কেউ যদি তোমাদের ধরেও ফেলে দু-চারটে থাপ্পড়ও মারে সহ্য করে নিও।” এটা বলার পরই উপস্থিত অভিভাবকরা উৎসাহিত হয়ে ওঠেন। হাততালি দিতে থাকেন। তারপরই তিনি আরও বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। ছাত্রদের উদ্দেশ্যে প্রবীণ মলের পরামর্শ, “কোনও উত্তর লেখার দরকার নেই। উত্তরপত্রের সঙ্গে ১০০ টাকার নোট দিয়ে দিলেই চলবে। তাহলেই চোখ বন্ধ করে শিক্ষকরা নম্বর দিয়ে দেবে।” শেষে ‘জয় হিন্দ, জয় ভারত’ স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি। গোটা ঘটনা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে বোর্ডের পরীক্ষায় টুকলি এড়াতে কোমর বেঁধেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তারমধ্যে এহেন ঘটনায় বিস্মিত প্রশাসন। নিন্দুকেরা বলছেন, এ তো সরষের মধ্যেই ভূত! তৎপর হয়ে লাভ কী!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.