সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইঁদুরের উপদ্রবে বিপর্যস্ত পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple)। প্রতিদিন শয়ে শয়ে ইঁদুর ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে মন্দির প্রাঙ্গনে। গর্ভগৃহেও ঢুকে সমস্ত জিনিস কেটে ফেলছে মূষিক-বাহিনী। সংকটের মুখে পড়েছে মন্দিরে রাখা কাঠের বিগ্রহগুলি। মন্দিরের সেবায়েতদের মতে, নিত্যপুজোয় প্রচণ্ড অসুবিধায় পড়ছেন তাঁরা। অবিলম্বে যদি এই ইঁদুরের উপদ্রব বন্ধ করা না যায়, তাহলে সমস্যা মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
কেন আচমকা ইঁদুরের উপদ্রব? জানা গিয়েছে, ২০২০ ও ২০২১ সালে দীর্ঘ সময় ধরে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির। অন্য সময়ে দর্শকদের ভিড়ের চাপে সেভাবে বেরতে পারে না ইঁদুর বাহিনী। কিন্তু ফাঁকা মন্দির পেয়ে অবাধে বিচরণ শুরু করে তারা। শুধু ইঁদুর নয়, পুরীর মন্দিরে লাফিয়ে বেড়েছে আরশোলার সংখ্যাও। রাতের অন্ধকারে মন্দিরের ক্ষতি করছে তারা। বিগ্রহের জামাকাপড় কেটে ফেলা থেকে শুরু করে মন্দির চত্বর নোংরা করা- একাধিক সমস্যায় জর্জরিত মন্দিরের সেবায়েতরা।
সত্যনারায়ণ পুষ্পালোক নামে এক সেবায়েত বলেছেন, “মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে সমস্ত কিছু নষ্ট করে দিচ্ছে ইঁদুরের দল। চারদিক এত নোংরা করে রাখছে, আমাদের প্রতিদিনের নিয়মমাফিক পুজোর কাজ করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। বিগ্রহের জামা কাপড় থেকে শুরু করে পুজোর মালা-সমস্ত কিছু কেটে দিচ্ছে। তাছাড়া মূর্তির মুখ-সহ একাধিক অংশে নোংরা ছিটিয়ে রেখে যাচ্ছে।” আরেকজন সেবায়েতের মতে, মন্দিরের পাথরের মধ্যে একাধিক ফাটল ধরেছে। সেখান থেকেই বহাল তবিয়তে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে পড়ছে মূষিক বাহিনী। এখনই যদি তাদের আটকানো না যায়, তাহলে মন্দিরে রাখা কাঠের বিগ্রহগুলি একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে।
মন্দিরের পরিচালন সমিতির তরফে বলা হয়েছে, এই সমস্যার কথা তাঁদের কানে এসেছে। তবে বিষ খাইয়ে ইঁদুর মেরে ফেলার পক্ষপাতী নয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। জিতেন্দ্র সাহু নামে মন্দিরের এক প্রশাসক জানিয়েছেন, “আমরা ঘটনাটা জানি, এবং যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্দির থেকে ইঁদুর নির্মূল করার সমস্ত চেষ্টা চলছে। আপাতত জাল পেতে ইঁদুর ধরার কাজ চলছে। তাদের ধরে মন্দির থেকে অনেক দূরে ফেলা দেওয়া হবে। কিন্তু কোনওমতেই বিষ খাইয়ে ইঁদুর মারব না।” জানা গিয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকেও এই সমস্যার কথা জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.