Advertisement
Advertisement
Punjab Assembly election

Punjab Election 2022: ধর্মীয় আবেগকে মান্যতা, পিছিয়ে গেল পাঞ্জাবের ভোট,

ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আরজি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

Punjab Assembly election will be held on 20 February | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 17, 2022 2:41 pm
  • Updated:January 17, 2022 3:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে না পাঞ্জাবের নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলির আবেদন মেনে পিছিয়ে দেওয়া হল পাঞ্জাবের বিধানসভা ভোট। ভোটগ্রহণ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। সোমবার ভোটের নয়া দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি (Charanjit Singh Channi)। তাঁর আরজি মেনে পিছিয়ে দেওয়া হল ভোটগ্রহণ। 

গত ৮ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব (Punjab), মণিপুর এবং গোয়ার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানিয়েছিলেন, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে পাঞ্জাবের ১১৭টি আসনে। সেসময় ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে আপত্তি জানায়নি কংগ্রেস। বরং, মুখ্যমন্ত্রী নিজে কমিশনের (Election Commission) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার হঠাৎ অবস্থান বদলে ভোট পিছোনোর দাবি  তোলেন তিনি। পরে একই দাবি জানায় বিজেপিও। 

Advertisement

 

[আরও পড়ুন: সিঁথিতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই সাত সন্তান, ধ্বংসস্তূপে মরিয়া হয়ে খুঁজছে মা সারমেয়]

আসলে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের দলিত শিখদের ধর্মগুরু রবিদাসের জন্মজয়ন্তী। সেই উপলক্ষে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই বেনারসে তীর্থ করতে যাবেন প্রায় ২০ লক্ষ দলিত শিখ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হলে এই ভোটাররা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর অনুরোধ ছিল, ভোটের দিন অন্তত ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক, যাতে এই ২০ লক্ষ ভোটার বেনারস থেকে ফিরে এসেও নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। একই আরজি জানিয়েছিল বিজেপিও। তার পরই সোমবার ভোটের নতুন দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। 

আসলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই দলিত শিখ সম্প্রদায়ের নেতা। আগামী নির্বাচন জিতে পাঞ্জাবে কংগ্রেসকে (Congress) ফের ক্ষমতায় আসতে হলে রাজ্যের ৩২ শতাংশ দলিত ভোটারকে সংগঠিত করা জরুরি। কারণ, পাঞ্জাবের হিন্দু ভোটারদের একটা বড় অংশের ভোট যাবে বিজেপি এবং অমরিন্দর সিংয়ের জোটের দিকে। আম আদমি পার্টিও সেখানে কিছুটা ভাগ বসাবে। উচ্চবর্ণের জাঠ শিখদের ভোটের একটা বড় অংশ যায় অকালি দলের খাতায়। সেখানেও কংগ্রেসের পাশাপাশি ভাগ বসাবে আম আদমি পার্টি। তাই ক্ষমতায় ফিরতে কংগ্রেসের মূল ভরসা এই ৩২ শতাংশ দলিত শিখদের ভোটই। আবার বিজেপিও চাইছে দলিত শিখদের ভোট নিজেদের দিকে টানতে। তাই স্থানীয় ধর্মীয় আবেগকে মান্যতা দিয়ে ভোট পিছনোর দাবি জানিয়েছিল দুই যুযুধান পক্ষই। 

[আরও পড়ুন: Mukul Roy: মুকুল রায় বিধায়ক থাকতে পারবেন তো? স্পিকারকে সিদ্ধান্ত জানানোর সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement