সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে পড়ুয়াদের শাস্তি দেওয়ার অধিকার শিক্ষকদের থাকা উচিত নাকি উচিত না, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। শিক্ষাবিদদের অধিকাংশই মনে করেন কোনওভাবেই পড়ুয়াদের আঘাত করা উচিত না। ছাত্রছাত্রীদের মনে ভয় ঢুকে যায় এমন কোনও আচরণ করতে পারেন না শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাছাড়া রাগের মাথায় গুরুতর আঘাত করলে শিশুরা শারীরিকভাবেও সমস্যায় পড়তে পারে। এই নিয়ে রীতিমতো আইনও তৈরি হয়েছে। স্কুলে সবওরকম ‘ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট’ এখন নিষিদ্ধ। কিন্তু এসব সত্ত্বেও ঘটে যাচ্ছে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা। এবার যেমন ঘটল পুনেতে।
ঘটনাটি পুনের একটি আবাসিক অঙ্কনের স্কুলের। ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়া নির্দিষ্ট সময়ে নিজের হোমওয়ার্ক শেষ করতে পারেনি। শিক্ষকের দেওয়ার আঁকার অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হয়নি তাঁর। তাই শিক্ষক যখন খাতা দেখাতে বলে সে ইতস্তত করে। এরপর জোর করায় শিক্ষককে খাতা দেখায় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই পড়ুয়া। ফাঁকা খাতা দেখে আরও রেগে যান শিক্ষক। রাগের বশে পড়ুয়াটিকে সপাটে চড় কষিয়ে দেন তিনি। এমনকী তাঁকে বেঞ্চের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এর জেরেই ওই পড়ুয়ার মুখমণ্ডলের একাংশ অসাড় হয়ে যায়। চিকিৎসকদের পরিভাষায় একে বলা হয় “facial paralysis”। যা জোরে আঘাত লাগলে হতে পারে।
পুনের শ্রী ছত্রপতি শিবাজী মিলিটারি স্কুলে মূল ঘটনাটি গত মাসের ১৫ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে ঘটেছে বলে এখনও পর্যন্ত তথ্য মিলেছে। আক্রান্ত খুদে পড়ুয়ার কাছ থেকে যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই পুনের শিবাজীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালক পড়ুয়া পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্ত শেষ না হওয়ার পর্যন্ত সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক সন্দীপ গাদে এবং প্রিন্সিপাল এস পাতিলকে। আক্রান্ত পড়ুয়ার চিকিৎসা চলছে।
ছবিটি প্রতীকি
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.