সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণের (Pune) পোর্শে কাণ্ডে শনিবার সকালেই গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিযুক্ত কিশোরের মা। আর এদিনই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার দাবি করলেন, তিনি পুলিশ কমিশনারকে এই মামলা সংক্রান্ত কোনও কারণে ফোন করেননি। ঠিক কী বলেছেন শরদ পওয়ারের ভাইপো? তাঁর কথায়, ”আমি পুলিশ কমিশনারকে নানা ইস্যুতেই ফোন করে থাকি। কিন্তু এই বিষয়ে আমি একটিও কল করিনি।”
এর আগে অবশ্য পওয়ার অন্য কথা বলেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে অজিত জানিয়ে দেন, ফোন তিনি করেছিলেন। তবে তাঁর দাবি, অভিযুক্তকে বাঁচানোর জন্য নয়। কমিশনারকে জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলে। ফলে সতর্কভাবে কাজ করার জন্য ফোন করেছিলেন। কিন্তু এবার আগের দাবি উড়িয়ে তিনি বললেন, আদৌ ফোনই করেননি তিনি।
এদিকে তাঁর দলের বিধায়ক সুনীল টিংড়ের বিরুদ্ধে এই মামলায় হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ উঠেছে সেটাও উড়িয়ে দিয়েছেন পওয়ার। এপ্রসঙ্গে তাঁর দাবি, ”সুনীল একজন বিধায়ক। ওঁর এলাকাতেই ওই ঘটনা ঘটেছিল। একজন স্থানীয় বিধায়ক তাঁর কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শনে যেতেই পারে। উনি কি বিষয়টা চেপে দিতে চেয়েছিলেন? এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
প্রসঙ্গত, গত কদিনে পোর্শে দুর্ঘটনার তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যার মধ্যে অন্যতম, খোদ অজিত পওয়ার (Ajit Pawar) নাকি অভিযুক্ত কিশোরকে বাঁচাতে পুণের পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছিলেন। এই অভিযোগ শনিবার স্পষ্টতই উড়িয়ে পওয়ার এও বললেন, এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে একদম সঠিক নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও একেবারে সঠিক নির্দেশই দিয়েছেন। যে পুলিশ কর্মীরা প্রক্রিয়াটিকে বিলম্ব করতে চাইছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। হাসপাতালের যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করেছে পুলিশ।”
পোর্শে কাণ্ডে শনিবার গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিযুক্ত কিশোরের মা। অভিযোগ, নাবালক চালককে বাঁচানোর জন্য় রক্তের ভুয়ো নমুনা দিয়েছিলেন তার মা। সেই নমুনা পরীক্ষা করেই ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরি হয়, যাতে প্রমাণ করা যায় যে দুর্ঘটনার সময়ে নাবালক চালক মদ্যপ ছিল না। তার পর থেকে পলাতক ছিলেন ওই মহিলা। রক্তের নমুনা বদলের অভিযোগই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.