Advertisement
Advertisement

মৃত্যুর আগে অযোধ্যায় রামমন্দির গড়ার ভাবনা ছিল রাজীব গান্ধীর!

যে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি, ঠিক তার পরই জনসভায় প্রয়াত হন রাজীব গান্ধী৷

PTI reporter remembers the assassination day of Rajib Gandh
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 20, 2016 9:25 pm
  • Updated:May 21, 2017 7:48 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে রামমন্দির স্থাপন নিয়ে দেশ জুড়ে দাঙ্গা বেধেছিল, তা তৈরি করতে চেয়েছিলেন স্বয়ং রাজীব গান্ধীই৷ এবং অযোধ্যাতেই৷ অবশ্যই সর্বদলীয় বৈঠক করে এই সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী৷ তা সম্ভব হলে ধর্মীয় মৌলবাদ নিয়ে দেশ আজ যে সঙ্কটে, সে পরিস্থিতি হয়তো তৈরিই হত না৷ বিজেপির মতে তথাকথিত সাম্প্রদায়িক শক্তির এতবড় উত্থান হয়তো প্রশ্নের মুখে পড়ত৷ কিন্তু এই এতবড় পরিকল্পনা খবরেই আসতে পারেনি, কেননা তার থেকেও বড় খবরে ঢেকে দিয়েছিল সবকিছু৷ যে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি, ঠিক তার পরই জনসভায় প্রয়াত হন রাজীব গান্ধী৷

শেষবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি রাজীব গান্ধী, স্মৃতিচারী সাংবাদিক ছবিতে নীল জামা পরে৷
শেষবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি রাজীব গান্ধী, স্মৃতিচারী সাংবাদিক ছবিতে নীল জামা পরে৷

সেদিনের স্মৃতি উঠে এসেছে পিটিআই সংবাদসংস্থার প্রবীণ সাংবাদিক  আর রঙ্গরাজের স্মৃতিচারণায়৷ সেদিন চেন্নাই বিমানবন্দরে অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্স কভার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই৷ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে সেদিন  একটু দেরিই হয়েছিল রাজীবের৷ তবে তাঁকে খুব নিশ্চিন্ত লাগছিল বলে জানিয়েছেন ওই সাংবাদিক৷ নানা বিষয়ে বলার পর রামমন্দির ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন৷ তখন ইন্টারনেট যুগ আসেনি৷ ফলে তক্ষুণি এ খবর দফতরে পৌঁছে দিতে পারেননি তিনি৷ পরে জনসভায় যাওয়ার পথে রাজীবকে যখন কিছু সমর্থক মালা দিতে এলেন তখন অফিসে ফোন করে তিনি খবরটি জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু তখন কে জানত আরও বড় খবর অপেক্ষা করছে!

Advertisement

শ্রীপেরুমবুদুর জংশনে প্রথমে ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদানের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর৷ একটু দূরেই অপেক্ষা করছিলেন সাংবাদিকরা৷ আর ঠিক তখনই বিস্ফোরণের শব্দ আসে৷ ছুটে যান রঙ্গরাজ৷ খোঁজ করেন রাজীবের৷ যদি প্রধানমন্ত্রী আহত হন তাহলে কীভাবে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা যায়, এসব চিন্তাই ঘুরছিল তাঁর মাথায়৷ মরদেহ, জামাকাপড়ের ছিন্নভিন্ন অংশ তখন ছড়িয়ে আছে এদিকে ওদিকে৷ কোথায় রাজীব? হঠাৎ তাঁর চোখ যায় একজোড়া জুতোর দিকে৷ প্রেস কনফারেন্সের সময় প্রধানমন্ত্রীর ব্র্যান্ডেড জুতোর দিকে নজর গিয়েছিল তাঁর৷ সেটি দেখেই তিনি বুঝতে পারেন,

মৃত্যুর কয়েক সেকেণ্ড আগে রাজীব গান্ধী৷
মৃত্যুর কয়েক সেকেণ্ড আগে রাজীব গান্ধী৷

প্রয়াত হয়েছেন রাজীব গান্ধী৷

তড়িঘড়ি ফোনের খোঁজ করেন তিনি৷ কিন্তু কাছাকাছি কোথাও পিসিও ছিল না৷ একটি পেট্রোল পাম্পের ফোন থেকে অফিসে এ খবর দেন তিনি৷ ফোনের অন্যপ্রান্তে তখন সাব এডিটর চমকে চিৎকার করে ওঠেন৷ কিন্তু কতক্ষণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, জানতেন না রঙ্গরাজ৷ আর তাই সাব অডিটরকে প্রায় চিৎকার করে থামিয়ে দিয়ে পুরো খবরটি দিয়েছিলেন তিনি৷

সেদিনের সে অভিজ্ঞতা এত বছর পরেও রঙ্গরাজের স্মৃতিতে টাটকা৷ সাংবাদিকের জীবন বোধহয় এরকমই৷ কিছুক্ষণ আগেও ভেবেছিলেন প্রেস কনফারেন্সে বলা রামমন্দির নিয়ে রাজীবের মন্তব্যই হয়তো বড় খবর৷ কিন্তু কোনও এক সর্বশক্তিমান সম্পাদক সেদিন সে খবরকে গৌণ করে তুলেছিলেন৷ বদলে এমন খবর তৈরি হয়েছিল যা বদলে দিয়েছিল দেশের ভবিষ্যতই৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement