সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘চায়ে পে চর্চা’র পর এবার ‘পরীক্ষা পে চর্চা’। পরীক্ষার মরসুমে পড়ুয়াদের সামনে শিক্ষকের ভুমিকায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়াম থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল দেশের সবকটি সিবিএসই পরিচালিত স্কুলে। কিন্তু, পড়ুয়ারা কি অনুষ্ঠানটি দেখেছে? স্কুলগুলিকে প্রমাণ পেশ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। প্রতিটি রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের কাছে রীতিমতো ছবি, ভিডিও-সহ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্কুলগুলিকে ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি প্রমাণ পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষাদপ্তর। যদিও মন্ত্রকের সাফাই, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য সরকার বা সিবিএসই-র মতো সংস্থা মতামত জানায়। এটাই দস্তুর। তাদের কাছে আলাদা করে কোনও প্রমাণ চাওয়া হয়নি।
[আফরাজুলকে মেরে আফসোস নেই, জেল থেকেই বিস্ফোরক ভিডিও শম্ভুলালের]
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে মোদির ‘চায়ে পে চর্চা’ ঝড় তুলেছিল গোটা দেশে। অভিনব এই প্রচার কৌশলের ফলও মিলেছিল। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী কুরসিতে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, নোটবাতিল, জিএসটি-র মতো ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। এখন তো আবার পিএনবিতে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে মোদি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী নীরব মোদির নাম জড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মন জয় করতে ফের এক অভিনব কৌশল নিয়েছিলেন মোদি। গত শুক্রবার দিল্লি তালকোটরা স্টেডিয়ামে পড়ুয়ার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তিনি। পরীক্ষার মরসুমে কীভাবে চাপ কাটাতে হবে, সেই পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানটি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘পরীক্ষা পে চর্চা’। দেশের সবকটি সিবিএসই পরিচালিত স্কুলে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। কিন্তু, স্কুলে মোদির অনুষ্ঠান সম্প্রচারে আপত্তি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাপাধ্যায়। তাই একমাত্র এ রাজ্যেই সিবিএসই পরিচালিত স্কুলগুলিতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ দেখানো হয়নি।
[টাকা ফেরানোর রাস্তা বন্ধ করেছে পিএনবি, চিঠিতে দুষলেন নীরব]
অনুষ্ঠান তো না হয় সরাসরি সম্প্রচারিত হল। কিন্তু, পড়ুয়ারা মোদির ভাষণ শুনল কি? তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ সম্প্রচারের পর, রাজ্যগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্র। রাজ্য শিক্ষাদপ্তর আবার স্কুলগুলিতে পালটা নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। নির্দেশিকায় ১৯ ফ্রেরুয়ারির মধ্যে স্কুলে ঠিক কতজন পড়ুয়া ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ দেখেছে তা জানাতে বলা হয়েছে। এমনকী, প্রমাণস্বরূপ ছবি ও ভিডিও চেয়েছে শিক্ষাদপ্তর। যদিও স্কুলগুলিকে প্রমাণ দাখিল করতে বলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। মন্ত্রকের এক আধিকারিকের সাফাই, সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য এবং সিবিএসই-র মতো স্বশাসিত সংস্থাগুলি মতামত জানিয়ে থাকে। এটাই দস্তুর। স্কুলগুলিকে প্রমাণ দাখিল করতে বলা হয়নি।
[বাড়ল আবেদনের বয়সসীমা, রেলে শীঘ্রই ৯০ হাজার নিয়োগ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.