Advertisement
Advertisement

ফের উত্তপ্ত সবরীমালা, পুলিশি নির্দেশ না মানায় আটক ২৮

সবরীমালা চত্বরে রাতে থাকতে না দেওয়াতেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।

Protests at Sabarimala again
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 19, 2018 9:33 am
  • Updated:November 19, 2018 9:33 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার আরও একবার উত্তাল হল সবরীমালা চত্বর। কেরলের আয়াপ্পার এই মন্দিরে বিশেষ পুজো উপলক্ষে বিশেষ সতর্ক হয়েছিল পুলিশ। মন্দিরে আগত ভক্তদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রাতে মন্দিরের মধ্যে থাকা যাবে না। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। শয়ে শয়ে ভক্ত পুলিশের উপর ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতেই ২৮ জন ভক্তকে আটক করে পুলিশ।

[আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার, মারাঠাদের সংরক্ষণের দাবি মানলেন দেবেন্দ্র]

যতদিন যাচ্ছে, সবরীমালায় পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে অশান্তিও। এরই মধ্যে টানা দু’মাস মন্দিরে চলছে বিশেষ পুজো। রবিবার ছিল পুজোর দ্বিতীয় দিন। এই উপলক্ষে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ হাজির হন মন্দিরে। মন্দির চত্বর এবং যাত্রাপথ মিলিয়ে মোট ১৫ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন রয়েছে। রয়েছে বম্ব স্কোয়াড এবং ২০ জন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্যান্ডারের একটি দল। এই প্রথমবার মন্দিরে ঢোকার জন্য বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রত্যেক তীর্থযাত্রীর পরিচয়পত্র। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সে কারণে সবরীমালা চত্বরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। যাতে এক জায়গায় চারজনের বেশি জমায়েত না হতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অশান্তি এড়ানো গেল না।

Advertisement

এসপি প্রথীশ কুমার জানান, ভক্তদের বলা হয়েছিল হরিবর্ষণের পর যেন তাঁরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সেই জায়গা ফাঁকা করে দেন। তবে পুলিশের নির্দেশ মানতে রাজি হননি ভক্তরা। তারপরই পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এসপি-র কথায়, “আমরা পুজো করার বিরুদ্ধে নই। যে সমস্ত ভক্তরা মন্দিরে পুজোর দেওয়ার জন্য হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের আমরা সাহায্যও করেছি। কিন্তু তাঁদের সেখানে থাকতে বাধা দেওয়াতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।”

[রাম জন্মভূমির উপর ছবি তৈরি করছে শিয়া ওয়াকফ বোর্ড]

পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৮ জনকে আটক করে কাছের পাম্বা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, সন্নিধনমে যে বিক্ষোভ হতে পারে, তা আগে থেকেই খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই মতোই তৈরি ছিল তারা। যদিও ধৃত এক ভক্তের দাবি, তাদের প্রার্থনা করতে বাধা দিচ্ছিল পুলিশ। বলা হয়, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় একসঙ্গে প্রার্থনা করা যাবে না। তারই ফল এই প্রতিবাদ।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর গত শনিবার তৃতীয় দফায় খুলেছে সবরীমালা মন্দির। কিন্তু সেবারও অশান্তির ছবিটা পালটায়নি। কেরলের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই তীর্থক্ষেত্রের তালা খুলতেই শুরু হয়ে যায় ভক্তদের উগ্র বিক্ষোভ। ১০-৫০ বছর বয়সি মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি যেন না দেওয়া হয়। এই নিয়েই চলে বিক্ষোভ। কেরলের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেত্রী কেপি শশিকলাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শনিবার রাজ্যজুড়ে বনধও ডেকেছিল হিন্দু ঐক্য বেদি সংগঠনটি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement