সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের বাইরে থরে থরে সাজানো মরদেহ। সেই ওয়ার্ডেই কাজ করতে হচ্ছে কর্মীদের। রবিবারই প্রাণ হারালেন এক প্যারামেডিক্যাল কর্মী। এরপরেই ক্ষোভের আগুন ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ।
করোনার করাল গ্রাসে হিটলিস্টে সবার উপরে স্থান পেয়েছে মহারাষ্ট্র। বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের অবস্থাও তথৈবচ। রাজ্যের কোভিড হাসপাতাল কেইএম-এ (KEM) এর মধ্যেই ধরা পড়ল চরম গাফিলতির ছবি। করোনা ওয়ার্ডের বাইরে পড়ে একের পর এক সংক্রমিত ব্যক্তির মরদেহ! আর এভাবেই কাজ চালাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি প্রাণ হারিয়েছেন এক প্যরামেডিক্যাল কর্মী। এমনকী অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও সেই কর্মীকে ছুটি না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিশ্বজোড়া মহামারী পরিস্থিতিতে এত নিষ্টুর মনোভাব কীকরে দেখালেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? এরজেরেই কাজ বন্ধ রেখে সকল বিধি মেনে বিক্ষোভে অংশ নিলেন হাসাপাতলের প্যারামেডিক্যাল কর্মী-সহ চিকিৎসকরা। মুখে মাস্ক পরে তাঁরা হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। জানা যায়, বিগত চারদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে বার বার ছুটির আবেদন করা সত্ত্বেও তা মেলেনি। এরপরই রবিবার মারা গেলেন সেই কর্মী। তবে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা এখনও জানা যায়নি। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তা জানা সম্ভব। বিক্ষোভের পাশাপাশি হাসপাতালে গাফিলতির একাধিক চিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরছেন এখানের কর্মীরাই। রবিবার রাত থেকেই হাসপাতালের প্রথম তলে পড়ে রয়েছে ব্যক্তির দেহ। কারণ হাসপাতালের নিচের একটি ঘর মরদেহে ঢাসা। অগত্যা মৃত্যুর পরও ব্যক্তির সদগতি পাওয়ার কোনও ব্যবস্থাই এখনও নেওয়া হয়নি হাসপাকালের তরফ থেকে।
অন্যদিকে ব্যক্তির মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিজনেরা। তাঁরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানায়। জানা যায়, ব্যক্তি তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকার ভবিষ্যত ও বেকারত্ব নতুন করে ভাবাচ্ছে পরিবারে সকলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.