সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে স্কুলের পড়ুয়াদের অভিনব শাস্তি দিলেন এক শিক্ষক। চুল কেটে নিলেন ৩৫ পড়ুয়ার। সাত সকালে এই কাণ্ড ঘটল অসমের (Assam) একটি স্কুলে। অভিভাকদের অভিযোগ, দিনের শুরুতে প্রার্থনার সঙ্গীতের আগে চুল কেটে নেওয়া হয় ওই ছাত্রদের। এই ঘটনায় হেনস্তা হয়েছে পড়ুয়া। যদিও স্কুল কর্তপক্ষের দাবি, স্কুলের নিয়মে পড়ুয়াদের চুল বড় রাখার বিধান নেই। শৃঙ্খলা শেখাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এই ঘটনা অসমের মাজুলি জেলার একটি ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুলের। গত বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের চুল কেটে নিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মাজুলি জেলা প্রাশাসন। জেলার শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, স্কুলপড়ুয়াদের চুল ছোট রাখতে হবে, এমন নিয়ম নেই। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়মানুবর্তিতা পাঠ দিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিভাবকরা ব্যবস্থা নেননি বলেই শিক্ষক ওই কাজ করেছেন। অন্যদিকে নিকি নামের অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তিনি একাজ করেছেন। যদিও অভিভাবকরা বলছেন, “এভাবে পড়ুয়াদের অপমান করা হয়েছে”।
এই বিষয়ে জেলার ডেপুটি কমিশনার কাবেরী বি শর্মা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে পড়ুয়াদের চুল ছাঁটা হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষক কিছুটা করে চুল কেটে নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ক’দিন আগে কাছার জেলার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এক পড়ুয়া ইংরেজির বদলে মাতৃভাষায় কথা বলায় তাকে ২৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় চরম শোরগোল হয় রাজ্য জুড়ে। স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.