সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোড শোয়ে ঝড় তুলেছিলেন ফেব্রুয়ারি মাসে। সেবার গড় ছিল লখনউ। এক মাস পর সেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরাই সড়ক ছেড়ে নামতে চলেছেন জলপথে।
আগামী সোমবার, ১৮ মার্চ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে প্রিয়াঙ্কা শুরু করছেন লোকসভা ভোটের প্রচার। প্রয়াগরাজ থেকে মোটরবোটে চেপে কংগ্রেস নেত্রী পাড়ি দেবেন বারাণসী। জলপথে প্রিয়াঙ্কা সফর করবেন ১১০ থেকে ১১২ কিলোমিটার পথ। ছুঁয়ে যাবেন ভাদোহি, মির্জাপুরের মতো এলাকা। দেখা করবেন সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে। শুনবেন তাঁদের দাবি-দাওয়া, অভাব-অভিযোগের কথা। বোঝার চেষ্টা করবেন জনতার নাড়ি। আর একইসঙ্গে সারবেন ভোটের প্রচারও। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রিয়াঙ্কার এই অভিনব ‘রিভার শো’ ঘিরে কংগ্রেস কর্মী-সদস্যদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে। কংগ্রেসের এক মুখপাত্র দ্বিজেন্দ্র ত্রিপাঠীর দাবি, প্রিয়াঙ্কার মাপের এক জন নেত্রীর পক্ষে এইভাবে জলপথে সফর করা এবং জনতার এত কাছাকাছি পৌঁছাতে পারার ঘটনা এই প্রথম ঘটতে চলেছে। আরও এক মুখপাত্র, অংশু ত্রিপাঠীর মতে আবার, “এই সব এলাকায় যে সব মানুষের বাস, গত ৩০ বছর ধরে তাঁরা একভাবে অবহেলার শিকার হয়ে চলেছেন। অনেক সরকার এসেছে, অনেক সরকার চলেও গিয়েছে। কিন্তু এঁদের অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। কিন্তু কংগ্রেসের লক্ষ্য, সমাজের সব স্তরের, সব মানুষের উন্নয়ন। যাঁরা অবহেলিত, তঁাদেরও। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অভিযান এঁদের সকলের জন্যই।” প্রায় একই মত পোষণ করেছেন লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান রমেশ দীক্ষিতও। ইতিপূর্বে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রী এভাবে জলপথে প্রচার চালিয়েছেন বলে তাঁর মনে পড়ে না। দীক্ষিতের কথায়, “প্রিয়াঙ্কার লক্ষ্য হবে উপকূল এলাকায় বসবাসকারী মাল্লা, কেওয়াত, নিষাদ সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে দেখা করা। এর পাশাপাশি, প্রিয়াঙ্কা সম্ভবত মৎস্যজীবী, চাষি এবং মাঝিদের সঙ্গেও কথা বলবেন, তঁাদের সমস্যার কথা জানবেন। এই বিষয়টাই অভিনব, ব্যতিক্রমী।”
তবে এখনও পর্যন্ত এই জলপথে প্রচারাভিযানের সবুজ সংকেত পাননি সোনিয়া-কন্যা। এই মর্মে একটি চিঠি ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, প্রিয়াঙ্কা মোটরবোটে চড়ে প্রয়াগরাজ থেকে বারাণসী পর্যন্ত সফর করবেন। প্রিয়াঙ্কার প্রচার চলবে ১৮ থেকে ২০ মার্চ। তা, ৪৭ বছর বয়সি প্রিয়াঙ্কার রিভার-শোয়ে কী কী থাকছে? কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, আগামী ১৭ মার্চ লখনউয়ে আসবেন এআইসিসিতে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেত্রী। পরের দিন পৌঁছাবেন প্রয়াগরাজ। সেখানে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা ঘুরে দেখবেন ঐতিহাসিক আনন্দ ভবন, যা আগে নেহরু পরিবারের সরকারি বাসভবন হিসাবে পরিচিত ছিল, এখন তা পরিণত হয়েছে একটি সংগ্রহশালায়। সেই সংগ্রহশালায় রয়েছে জওহরলাল এবং তাঁর পিতা মোতিলাল নেহরুর জিনিসপত্র। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, মির্জাপুরের মা বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরে প্রিয়াঙ্কা পুজো দিতে পারেন। পুজো দিতে পারেন বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও।
[বাড়ির বড়দের আশীর্বাদ নিয়ে প্রচার শুরু বীরবাহার, জনসংযোগে মৃগাঙ্ক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.