সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পদত্যাগ পত্রে রাহুল গান্ধী লিখে দিয়েছেন, দলের পরবর্তী সভাপতি হতে হবে গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে। রাহুল মনে করছেন, পরিবারের কেউ সভাপতি হলে বিরোধীরা আক্রমণের জন্য অতিরিক্ত একটা অস্ত্র পেয়ে যায়, সেই অস্ত্রটি হল পরিবারতন্ত্র। কিন্তু, রাহুল যতই পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি করার প্রস্তাব দিন না কেন, তাঁর দলের অন্য নেতারা যে তা মানতে রাজি নন, তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। প্রথমত কংগ্রেস নেতারা রাহুলকেই বারবার অনুরোধ করেছেন সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে। তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকাই, একবার তাঁর মা সোনিয়াকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ভগ্ন স্বাস্থ্যের অজুহাত দেখিয়ে না বলে দিয়েছেন সোনিয়াও। শেষে বেগতিক দেখে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি করার দাবিতে সরব হওয়া শুরু করেছেন শীর্ষ নেতাদের একাংশ।
একদিন আগেই প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিং প্রিয়াঙ্কাকে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি করার পক্ষে জোরাল সওয়াল করেছিলেন। এবার মুখ খুললেন শত্রুঘ্ন সিনহা। দু’জনেরই সুর কমবেশি একই। সোনভদ্রের গণহত্যার প্রতিবাদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যেভাবে যোগী প্রশাসনের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছেন। দৃঢ়তার সঙ্গে ধরনা এবং গ্রেপ্তার বরণ করেছেন তাতে তাঁর লড়াকু মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। নটবর সিং, সোনভদ্রের ঘটনায় প্রিয়াঙ্কার দৃঢ়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রিয়াঙ্কাকেই সভাপতি করা হোক। গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে যাবে কংগ্রেস। দলের স্বার্থে রাহুলকে সিদ্ধান্ত বদলানোরও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
নটবরের পর একই সুর শত্রুঘ্নের গলাতেও। তিনি বলছেন, সোনভদ্র ইস্যুতে যেভাবে কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ঝাঁপিয়ে পড়লেন তা ইন্দিরা গান্ধীর মতো মহান নেত্রীর কথা মনে করাচ্ছে। বেলচিতে যেভাবে তিনি হাতির পিঠে করে গিয়েছিলেন সেই সময়ের কথা মনে পড়ল। প্রিয়াঙ্কা সব অত্যাচার দৃঢ়তার সঙ্গে সহ্য করলেন। হাসিমুখে গ্রেপ্তারি বরণ করলেন। ওই রকম পরিস্থিতিতেও প্রবল বুদ্ধিদীপ্ত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। আমার মনে হয় কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার জন্য তিনিই উপযুক্ত ব্যক্তি। শুধু শীর্ষ নেতারাই নন, দলের অন্দরেও গুঞ্জন উঠছে, রাহুল যদি নিতান্তই রাজি না হন তাহলে, প্রিয়াঙ্কা লাও-কংগ্রেস বাঁচাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.