সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক ইস্যুতে কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে বিঁধছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে খোদ যোগীর গড়েই বিজেপির কার্যত ঘুম ছুটিয়ে ছেড়েছেন কংগ্রেসের অন্যতম মুখ। কিছুদিন আগে রীতিমতো রণহুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, ‘আমি ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি’। সেই বিরোধিতার মাশুলই কি এবার চোকাতে হবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে? ১ আগস্টের মধ্যে তাঁকে দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই নোটিশ জারির পর থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও কেন্দ্রের সাফাই, নিয়ম মেনেই তাঁকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা।
নোটিশে বলা হয়েছে, দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করতে হবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আগামী ১ অগাস্টের মধ্যে তাঁকে বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। নইলে তাঁকে জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, এতদিন লোধি রোডে সরকারি বাংলোয় থাকতেন তিনি। নগর এবং আবাসন মন্ত্রকের ওই নোটিসে বলা হয়, লোধি এস্টেটের ৩৫ নম্বর বাংলোটি এসপিজি নিরাপত্তা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ। প্রিয়াঙ্কা এখন এসপিজি নিরাপত্তা পান না। বরং তিনি জেডপ্লাস নিরাপত্তার আওতায়। তাই নিয়ম মেনে তাঁকে বাংলোও ছাড়তে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বরে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে দেওয়া স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) ক্যাটেগরির নিরাপত্তা তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তার বদলে তাঁদের জন্য জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তা নিয়েও তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। সে সময় কেন্দ্রের সাফাই ছিল, রাজনীতিকদের উপর হামলার আশঙ্কার প্রেক্ষিতেই তাঁদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। সম্প্রতি দেখা গান্ধী পরিবারের উপর হামলা আশঙ্কা অনেকটাই কমে গিয়েছে।তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপর কেটে গিয়েছে অন্তত সাত মাস। তার এতদিন পর কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে ধন্দ থেকেই যাচ্ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর তুলনায় প্রিয়াঙ্কার জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেশি। বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর আক্রমণ আর নাছোড়বান্দা মনোভাব বিজেপি সরকারের কালঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে। তাই এবার প্রিয়াঙ্কাকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.