Advertisement
Advertisement

Breaking News

নরেন্দ্র মোদি

‘পোশাক দেখেই বোঝা যায় কারা হিংসা ছড়াচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে দুমকায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

Prime Minister's comment's on clothes sparks controversy .
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 15, 2019 6:40 pm
  • Updated:December 15, 2019 6:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে প্রতিবাদ উত্তাল গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচারে রবিবার ঝাড়খণ্ডের দুমকায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনী ব়্যালিতে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, “পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে, কারা হিংসা ছড়াচ্ছে।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

চলতি সপ্তাহেই সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (CAB)। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরের পর তা আইনেও পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব একাধিক রাজনৈতিক দল। চলছে দফায়-দফায় আন্দোলন। আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটছেন অনেকে। বিল প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ উত্তর-পূর্ব ভারতও। এমন পরিস্থিতিতে বিতর্কিত বিল পেশ বা পাশ হওয়ার সময় একদিনও সংসদে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে আগেই সমালোচনায় মুখর হয়েছিল বিরোধী দলগুলি।

Advertisement

[আরও পড়ুন : গরুকে কম্বল দান করলেই মিলবে বন্দুকের লাইসেন্স, আজব নিয়ম মধ্যপ্রদেশে!]

বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার প্রচারে দুমকায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এদিন নাম না করেই কংগ্রেসের সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা টানেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “৩৭০ ধারার প্রত্যাহার, অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের মতো আচরণ করছে। বিদেশে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে পাকিস্তানের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। দেশেও কিছু রাজনৈতিক দল সেই একই আচরণ করছে।”

[আরও পড়ুন : নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে অনশনে বিজয়ন, একজোট কেরলের বিরোধী নেতারাও]

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বারবার ঘুরেফিরে নাগরিকত্ব আইনের প্রসঙ্গও উঠে আসে। তাঁর কথায়, “অসমের মানুষজন শান্তিপূর্ণভাবে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। যারা অশান্তি পাকাচ্ছেন তাদের থেকে দূরে থাকার জন্য অভিনন্দন অসমবাসীকে।” এরপরই তিনি বলেন, “পোশাক দেখেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে কারা অশান্তি করছেন।” প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, “কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা অশান্তির আগুন ছড়াচ্ছে। কেউ যখন ওদের কথা শুনছে না, তখনই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে ওরা।”

[আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশে ফের জাতিবিদ্বেষ, দলিত বিরিয়ানি বিক্রেতাকে বেধড়ক মারধর]

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত আইনের প্রতিবাদে এখনও উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব ভারত। গুয়াহাটির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করার পরই আরও এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। তবে বিভিন্ন প্রান্তে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখন অশান্তি চলছেই। এই পরি্স্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নতুন করে বির্তক তৈরি করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement