আমার প্রিয় ভারতবাসী,
ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে গত বছরের এই দিনে একটি সুবর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। বেশ কয়েক দশক পর দেশের জনগণ আবারও একটি পূর্ণ সময়ের সরকারকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে নির্বাচিত করেছিলেন।
আরও একবার আমি ভারতের ১৩০ কোটি মানুষ এবং আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কাছে মাথা নত করছি। স্বাভাবিক সময় হলে আমি আপনাদের মধ্যেই থাকতাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটি হবার নয়। আর তাই, আমি এই চিঠির মাধ্যমে আপনাদের সকলের আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি।
আপনাদের ভালবাসা, সদিচ্ছা এবং সক্রিয় সহযোগিতা নতুন শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস। আপনারা যেভাবে গণতন্ত্রের সঙ্ঘবদ্ধ শক্তিকে প্রকাশ করেছেন তা সারা পৃথিবীর কাছে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবে।২০১৪ সালে দেশের জনগণ একটি সামগ্রিক পরিবর্তনের জন্য ভোট দিয়েছিলেন। বিগত পাঁচ বছরে দেশ দেখেছে কীভাবে প্রশাসন নিয়মশৃঙ্খলার বেড়াজাল ভেঙে বেরিয়ে এসেছে এবং দুর্নীতি ও অপশাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। অন্ত্যোদয়ের মন্ত্রে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে পরিবর্তন এসেছে।
২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভারতের সম্মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দরিদ্র মানুষের মর্যাদা বেড়েছে। আর্থিক সমন্বয়, বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ, সবার জন্য শৌচালয়
নির্মাণ এবং ‘হাউজিং ফর অল’-প্রত্যেকের জন্য আবাসনের লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে চলেছে।
ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং বায়ুসেনার অভিযানের মাধ্যমে তার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। একই সময়ে ‘এক পদ এক পেনশন’, ‘এক দেশ এক কর ব্যবস্থা’-জিএসটি, কৃষকদের জন্য আরও বেশি হারে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের মতো দীর্ঘ কয়েক দশকের চাহিদা পূরণ করা হয়েছে।
২০১৯ সালে ভারতের জনগণ শুধুমাত্র একটি সরকারকেই আবারও ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনেননি, তাঁরা দেশকে এক নতুন উচ্চতায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে ভোট দিয়েছেন। ভারতকে বিশ্বশক্তিতে পরিণত করার জন্য বিগত এক বছরে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এই স্বপ্নপূরণ সম্ভব হয়েছে। আজ ১৩০ কোটি মানুষ দেশের উন্নয়নে একাত্মভাবে শরিক হয়েছেন। জনশক্তি এবং রাষ্ট্রশক্তির ক্ষমতায় গোটা দেশ আজ উদ্ভাসিত। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ এই মন্ত্রে ভারত আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, বিগত এক বছরে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে, যা জনমানসে প্রোথিত রয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ দেশের একতা ও সংহতির মনোভাবকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ভারতের মাননীয় সর্বোচ্চ আদালত সর্বসম্মতভাবে রাম মন্দির মামলায় যে রায় দিয়েছেন তার ফলে বহু শতাব্দীর এক বিতর্কের গ্রহণযোগ্য সমাধান হয়েছে। তিন তালাক কু-প্রথাকে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনের মাধ্যমে ভারতের সহানুভূতি ও অন্তর্ভুক্তির মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। এছাড়াও আরও অনেক সিদ্ধান্ত দেশের উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে সহায়ক হয়েছে।চিফ অফ্ ডিফেন্স স্টাফ পদটি তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি পাবে। একই সময়ে ভারত গগনযান মিশনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। দরিদ্র নাগরিক, কৃষক, মহিলা এবং যুবসম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
পিএম কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় সমস্ত কৃষককে নিয়ে আসা হয়েছে। মাত্র এক বছরে ৯ কোটি ৫০ লক্ষের বেশি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭২ হাজার কোটি টাকার বেশি জমা পড়েছে। ‘জল জীবন’ মিশনের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ১৫ কোটি বাড়িতে পাইপের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।৫০ কোটি গৃহপালিত পশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য বিনামূল্যে ব্যাপক টিকাকরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কৃষক, খেতমজুর, ছোট দোকানদার এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা যাতে ৬০ বছর বয়সের পর মাসে নিয়মিত ৩ হাজার টাকা পেনশন পান তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার সুবিধের পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জন্য একটি পৃথক দফতর তৈরি করা হয়েছে। মৎস্যচাষকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার ফলে সমুদ্র সংক্রান্ত অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাধানের জন্য ‘ব্যাপারী কল্যাণ পর্ষদ’ গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত সাত কোটির বেশি মহিলাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আরও বেশি অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি যাতে কোনও গ্যারান্টার ছাড়াই ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, আগে ১০ লক্ষ টাকা
পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে এই সুযোগ পাওয়া যেত। উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত শিশুদের শিক্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা ৪০০টির বেশি নতুন একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয় তৈরি করার কাজ শুরু করেছি।
গত এক বছরে নাগরিকবান্ধব বেশ কয়েকটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আমাদের সংসদ তার কর্মকুশলতার বেশ কয়েক দশকের রেকর্ড ভেঙেছে। এর ফলে উপভোক্তা সুরক্ষা আইন, চিট ফান্ড সংক্রান্ত
আইনের সংশোধন এবং মহিলা, শিশু ও ভিন্নভাবে সক্ষমদের রক্ষা করার জন্য আইনগুলি সংসদে পাস করানো সম্ভব হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নীতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ব্যবধান ঘোচানো সম্ভব হয়েছে। প্রথমবারের মতো গ্রামের মানুষ শহরাঞ্চলের মানুষের থেকে ১০ শতাংশ বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।জাতীয় স্বার্থে এই ধরনের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ গ্রহণের তালিকাটি এই চিঠির ক্ষেত্রে অত্যন্ত দীর্ঘ হবে। তবে আমি অবশ্যই বলব আমার সরকার এই সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণ শক্তিতে প্রতি মুহূর্তে কাজ করে চলেছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং চাহিদা পূরণে আমরা যখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছিলাম সেই সময় বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে।
একদিকে যখন বৃহৎ অর্থনৈতিক সম্পদে বলিয়ান এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলি এই সমস্যার সম্মুখীন, অন্যদিকে বিপুল জনসংখ্যা ও সীমিত সম্পদের অধিকারী আমাদের দেশও একই সমস্যার
মুখোমুখি হচ্ছে। করোনা যখন ভারতে আঘাত হানল, অনেকেই তখন আশঙ্কা করেছিলেন, সারা পৃথিবীর কাছে ভারত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু আজ আত্মপ্রত্যয় এবং প্রতিরোধ করার যে পন্থা আপনারা দেখিয়েছেন সারা বিশ্বের কাছে তা নজির সৃষ্টি করেছে। আপনারা আরও একবার প্রমাণ করেছেন ভারতীয়দের সমন্বিত শক্তি ও ক্ষমতা বিশ্বের ক্ষমতাশীল ও সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর কাছে অকল্পনীয়। করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে গিয়ে হাততালি দেওয়া, প্রদীপ জ্বালানো ছাড়াও দেশের সশস্ত্র বাহিনী যেভাবে সম্মান প্রদর্শন করেছেন কিংবা জনতা কারফিউ বা দেশজুড়ে লকডাউনের সময় যেভাবে প্রতিটি নিয়ম মানা হয়েছে তার মাধ্যমে আপনারা দেখিয়েছেন ‘শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর জন্য ‘এক ভারত’ অঙ্গীকারবদ্ধ।
সংকটের এই সময়ে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় প্রত্যেকেই কোনও না কোনওভাবে নানা অসুবিধা ও সমস্যার শিকার হয়েছেন। আমাদের শ্রমিক, পরিযায়ী শ্রমিক, হস্তশিল্পী ও ক্ষুদ্রশিল্পের কারিগর, হকার বন্ধুরা-সহ প্রতিটি দেশবাসী চূড়ান্ত সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের সমস্যা দূর করার জন্য আমরা এক জোট হয়ে প্রত্যয়ের সঙ্গে কাজ করে চলেছি। তবে, আমাদের নিশ্চিত হতে হবে আমরা আজ যে সমস্যার সম্মুখীন তা যেন বিপর্যয়ের রূপ না নেয়। তাই প্রতিটি নির্দেশ এবং নিয়ম মেনে চলা সকল ভারতীয়ের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এপর্যন্ত আমরা আমাদের ধৈর্য দেখিয়েছি আর ভবিষ্যতেও তা দেখাব। পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের থেকে ভারত যে নিরাপদ এবং ভাল জায়গায় রয়েছে তার অন্যতম একটি কারণই হল এটি। দীর্ঘ এই যুদ্ধে আমরা বিজয়ের পথে ঢুকতে পেরেছি এবং আমাদের সমন্বিত প্রয়াসেই এই জয় নিশ্চিত হবে।
বিগত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার কোনও কোনও অংশে একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। ওই রাজ্যগুলির জনসাধারণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য যে সহনশীলতা দেখিয়েছেন তার মাধ্যমে তাঁরা নজির সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের সাহস গোটা ভারতের জনগণের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস।
বন্ধুগণ, এই সময় ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি কীভাবে পুনরুদ্ধার করা যাবে তা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত যেভাবে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নিয়েছে সারা বিশ্ব তাতে অবাক হয়েছে। এর থেকে একটা বিশ্বাস দৃঢ় হচ্ছে, তা হল আমরা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারব। আর্থিক ক্ষেত্রে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর শক্তির মাধ্যমে সারা বিশ্ব অবাকই হবে না, ভারতবাসী তাঁদের অনুপ্রেরণাও জোগাবে।
সম্প্রতি আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে এই লক্ষ্যে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।আমাদের কৃষক, শ্রমিক, ছোট শিল্পোদ্যোগী অথবা নতুন উদ্যোগ౼স্টার্ট
আপের সঙ্গে যুক্ত যুব সম্প্রদায় সহ প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে সম্ভাবনার এক নতুন যুগ এই উদ্যোগের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে। আমাদের শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম, মেধা এবং ঘামের সঙ্গে ভারতের মাটির গন্ধ মিলেমিশে যে পণ্য উৎপাদন করবে তার ফলে দেশ আমদানির ওপর কম নির্ভরশীল হবে এবং আমরা স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাব।
প্রিয় বন্ধুগণ, গত ৬ বছর ধরে, চলার এই পথে আপনারা নিরবচ্ছিন্নভাবে আমাকে ভালবাসা ও আশীর্বাদ দিয়ে এসেছেন।আপনাদের আশীর্বাদের ফলেই বিগত এক বছরে দেশ বিভিন্ন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে, আমি এও জানি আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে। আমাদের দেশ আরও চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যার সম্মুখীন। আমি দিনরাত কাজ করে চলেছি। আমার ক্ষেত্রে হয়তো কিছু খামতি রয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশের কোনও ক্ষেত্রেই কিছু কমতি নেই। তাই আপনাদের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের শক্তি এবং ক্ষমতা আমার থেকেও বেশি।
আপনারা, আপনাদের সমর্থন, আশীর্বাদ ও ভালবাসাই আমার শক্তির উৎস।বিশ্বজুড়ে মহামারির ফলে বর্তমানে একটি সংকট তৈরি হয়েছে, কিন্তু আমাদের অর্থাৎ ভারতবাসীদের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে তা সমাধান করতে হবে।আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে, ১৩০ কোটি মানুষের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কখনই দুরবস্থার সম্মুখীন হবে না।
আমাদের বর্তমান এবং আমাদের ভবিষ্যৎ আমরাই নির্ধারণ করব।প্রগতির পথে আমরা এগিয়ে চলব এবং জয় আমাদের হবেই। বলা হয়, ‘কৃতম্মেদক্ষিণেহস্তে, জয়োমেসব্যাহিতঃ’। এর অর্থ যদি আমরা আমাদের কর্ম এবং কর্তব্যকে একটি হাত দিয়ে সম্পাদন করি তাহলে সাফল্য নিশ্চিতভাবে অন্য হাতে আসবেই। আমাদের দেশের জন্য সাফল্য প্রার্থনা করে আমি আরও একবার আপনাদের প্রণাম জানাই। আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন!!! সচেতন থাকুন, অবগত থাকুন!!!
আপনাদেরই প্রধান সেবক
নরেন্দ্র মোদি, প্রধানমন্ত্রী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.