সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনে প্রথমবার সংসদে যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। গমগম করছে সংসদ ভবন। গত পাঁচ বছরে দেশের সাফল্যের খতিয়ান দিচ্ছেন রামনাথ কোবিন্দ। দফায় দফায় হাততালিতে ফেটে পড়ছে গোটা কক্ষ। অথচ এর মধ্যে নির্লিপ্ত, নিরুৎসাহ, নিজের মোবাইলে মগ্ন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতির এই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু করেছেন বিরোধীরা।
এক বা দু সেকেন্ডের জন্য নয়। লাগাতার প্রায় ২০ মিনিট কক্ষে বসে রাষ্ট্রপতির ভাষণ চলাকালীন শুধুই নিজের মোবাইলে মুখ গুঁজে বসেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। কখনও কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে কিছু টাইপ করতে। রাষ্ট্রপতির ভাষণে যেন তাঁর কোনও আগ্রহই নেই। রাহুলের এই কাণ্ড দেখে রীতিমতো বিরক্ত হন মা সোনিয়াও। বক্তৃতা চলাকালীন সোনিয়াকে একাধিকবার ছেলের দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাকাতেও দেখা যায়। কিন্তু তাতেও ভ্রুক্ষেপ করেননি কংগ্রেস সভাপতি।
রাষ্ট্রপতি যে সময় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে বলছিলেন, তখন গোটা সংসদ টেবিল চাপড়ে তাঁকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীও টেবিল চাপড়ান। কিন্তু এসবের মধ্যেও নির্লিপ্ত ছিলেন রাহুল। তখনই দেখা যায়, সোনিয়া তাঁকে কিছু বলছেন। মায়ের কথাতেও কর্ণপাত করেননি কংগ্রেস সভাপতি৷ রাষ্ট্রপতির ভাষণে মন না দিয়ে তিনি মোবাইলেই মগ্ন ছিলেন।
বিরোধীরা বলছেন, রাহুলের এই আচরণ রাষ্ট্রপতি এবং সংসদ ভবনের গরিমার অবমাননা। শুধু তাই নয়, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে রাষ্ট্রপতি যখন বলছিলেন, তখন সেটা না শুনে সেনাকেও অপমান করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলের অবশ্য এসবে ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি এদিন আরও একবার জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার ব্যাপারে তিনি অনড়। তবে, তাঁর উত্তরসূরী কে হবে সেটাও দলকেই ঠিক করতে হবে। সভাপতি নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়েও তিনি থাকবেন না। নির্বাচনে হারার পর রাহুল যেভাবে নির্লিপ্তভাবে দলীয় কাজকর্ম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তা চিন্তা বাড়াচ্ছে কংগ্রেস শিবিরেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.