সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাভজনক পদ বিতর্কে জোড়া ধাক্কা খেলেন দিল্লির মু্খ্যমন্ত্রী ও আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কমিশনের সুপারিশে দিল্লিতে আপের ২০ জন বিধায়ককে বরখাস্ত প্রস্তাব অনুমোদন করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এদিকে, কমিশনের এই সুপারিশের স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আপ বিধায়করা। কিন্তু, সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
[ ‘আমিও বিজ্ঞানেরই লোক’, ডারউইন তত্ত্ব ভুল বলেও সাফাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
ঘটনা ঠিক কী? প্রতিটি রাজ্যে বিধানসভা আসনের নিরিখে মন্ত্রীদে্র সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে। দিল্লি মন্ত্রিসভায় ৪৪ জন পর্যন্ত মন্ত্রী হতে পারেন। তাই মন্ত্রিসভায় জায়গায় দিতে না পেরে, ওই ২০ জন বিধায়ককে পরিষদীয় সচিব পদে নিয়োগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু, দিন দুয়েক আগে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আম আদমি পার্টির ওই ২০ জন বিধায়ককে বরখাস্ত করার সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি ছিল, পরিষদীয় সচিব পদটি লাভজনক। অভিযুক্তরা বিধায়ক থাকাকালীনই লাভজনক পদে আসীন ছিলেন। তাই আইন মোতাবেক তাঁদের বরখাস্ত করা হোক। রবিবার সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাই আপ বিধায়কদের বরখাস্ত করতে কমিশনের বরখাস্ত করতে আর কোনও বাধা রইল না।
[দিল্লির বাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য মেয়রের, ভাইরাল ভিডিও]
এদিকে কমিশনের সুপারিশে স্থগিতাদেশ জারির আরজি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অভিযুক্তরা। ঘটনাচক্রে, সেই আবেদনও এদিন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সূত্রের খবর, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে আপ নেতৃত্ব। শেষপর্যন্ত যদি সত্যি মামলা দায়ের হয়, তাহলে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপ বিধায়কদের বরখাস্ত করতে পারবে না কমিশন।
[হজ অফিসের পর এবার পার্কের পাঁচিলে গেরুয়া রং, ফের বিতর্কে যোগী প্রশাসন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.