সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কে বলে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে দিনে দিনে! কে বলে বেড়ে চলেছে ধর্মীয় বিভেদ-অসহিষ্ণুতা! বিছিন্ন কিছু ঘটনা যেন কখনওই দীর্ঘকালীন ঐতিহ্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। ইদের চাঁদ নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাই ছড়িয়ে পড়ল সম্প্রীতির রোশনাই। যখন উড়ুপির কৃষ্ণ মন্দিরেই আয়োজিত হল ইফতারের। আর মহারাজের হাতে ফল খেয়েই রোজা ভাঙলেন প্রায় শতাধিক ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ।
[ প্রকাশ্যে ইদের প্রার্থনায় যোগ দিতে নিষেধাজ্ঞা পুলিশকর্মীদের উপর ]
কর্নাটকের এই কৃষ্ণ মন্দিরের খ্যাতি সারা দেশেই। প্রাচীন এই মন্দিরই সংস্কারমুক্ত দেশের নমুনা তুলে ধরল ইদের প্রাক্কালে। মন্দির চত্বরেই আয়োজন করা হল ইফতারের। আপেল, তরমুজ, কাজু ও ইফতারের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছিলেন মন্দিরের কর্মীরাই। মঠের অধ্যক্ষ প্রবীণ মহারাজ তীর্থ স্বামী নিজ হাতে তা পরিবেশন করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের। তাঁর হাত থেকে ফলের টুকরো মুখে তুলেই রোজা ভাঙেন প্রায় ১৫০ জন মুসলিম।
[ জানেন, কেন হিন্দুদের সঙ্গেই রোজা ভাঙতে চান এই মুসলিম যুবক? ]
স্বামীজির সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদেরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও ধর্মক্ষেত্রে কোনওরকম সংস্কারকে প্রশ্রয় দিতে নারাজ তিনি। তাঁর কথায়, মুসলমানরা তাঁর প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। এমনকী তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছেন। সুতরাং মুসলমানদের জন্য ইফতারের আয়োজন করতে তাঁর কোনও দ্বিধা নেই। সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি বাস করবেন, এমনটাই কামনা করেন তিনি। ইফতারে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমামও। রোজা ভাঙার পর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নমাজে নেতৃত্ব দেন তিনি। সব মিলিয়ে তৈরি হয় এক অভূতপূর্ব পরিবেশ। অনেত তত্ত্ব, অনেক বোঝানোর শেষেও যা সম্ভব হয় না, তাই-ই যেন হাতে কলমে করে দেখাল এই মন্দির কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.