কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্পার্টার সুন্দরী রানী হেলেনকে উদ্ধারে প্রায় ১০ বছর ধরে যুদ্ধ চালাচ্ছে বিশাল গ্রিক সেনা। তবে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না অলঙ্ঘ প্রাচীরে ঘেরা ট্রয় নগরীকে। শেষমেশ শঠতার আশ্রয় নিতে বাধ্য হলেন মহাবাহু গ্রিক যোদ্ধারা। ট্রোজান হর্সের ছলনায় পদানত হল ট্রয়। ঠিক একই কায়দায় ইন্ডিয়া জোটকে কবজা করতে নীতীশ কুমার ছিলেন বিজেপির হাতিয়ার। এমনটাই দাবি করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
রবিবার দেহরাদুনে খাড়গে বলেন, নীতীশের ইন্ডিয়া জোটে আসা, শেষ মুহূর্তে ‘ডিগবাজি’ খাওয়া, এই গোটা ঘটনাচক্রই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। মহাজোটকে বেকায়দায় ফেলতে শুরু থেকেই এহেন নীল নকশা তৈরি করে ময়দানে নেমেছিল বিজেপি আর জেডিইউ। কংগ্রেসের সামনে ধোঁকার টাটি তৈরি করেছিল তারা। সংবাদ সংস্থা এএনআইর প্রশ্নের উত্তরে ক্ষুব্ধ খাড়গে বলেন, “এহেন সিদ্ধান্ত (নীতিশের শিবির বদল) একরাতে নেওয়া হয় না। ফলে গোটাটাই যে পূর্বপরিকল্পিত ছিল তা স্পষ্ট। আমাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছেন নীতীশ। একইভাবে লালুপু্রসাদ যাদবকেও ভাঁওতা দিয়েছেন তিনি।”
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে ইস্তফা দিয়ে বিকেলে নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আরজেডি-কংগ্রেসকে ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটে। এর পর সোমবারই আরজেডি নেতা তথা বিহার বিধানসভার স্পিকার অবধ বিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন বিজেপি নেতা নন্দ কিশোর যাদব, তারকিশোর প্রসাদ, এইচএএম প্রধান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জি, জেডিইউ-র বিনয় কুমার চৌধুরী, রত্নেশ সাদা এবং এনডিএ জোটের অন্যান্য বিধায়করা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অবধ বিহারীর পদ ছাড়া একপ্রকার পাকা। এদিকে সোমবারেই ইডি দপ্তরে লালু প্রসাদ যাদবের হাজিরা নিয়েও নীতীশ এবং বিজেপির রাজনৈতিক অভিসন্ধী নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তার আগে গতকাল নীতীশের জোটবদল নিয়ে সাফাই দেন দলের নেতা এস কে ত্যাগী। তিনি বলেন, ‘‘শুরু থেকেই ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্বের দখল রাখতে চেয়েছে কংগ্রেস।” তাঁর আরও দাবি,” জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে ষড়যন্ত্র করে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম বলিয়ে নেয় তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছিল।’’ ত্যাগী বুঝিয়ে দিয়েছেন ‘ইন্ডিয়া’র ভিতরে কংগ্রেসের ‘দাদাগিরি’ মানতে না পেরেই জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.