সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করায় এবার বিপাকে পড়তে পারেন জেডিইউ নেতা প্রশান্ত কিশোর। শোকজ করার পর খোদ নীতীশ কুমার তাঁকে জরুরি তলব করেছেন। আজই প্রশান্তের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা নীতীশ কুমারের। তারপরই জেডিইউতে ভোটকৌশলীর ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
এনআরসি থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। একের পর এক ইস্যুতে পার্টি লাইনের বিরুদ্ধে গিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। অসমে এনআরসির পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র শ্লেষে বিঁধেছেন মোদি সরকারকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর তাঁর কলমের ধার আরও বেড়েছে। আরও কঠোরভাবে বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসিকে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের জোড়া অস্ত্র বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর ঘুরপথে তা আটকে দিতে অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের একত্রিত হওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। ১৬টি অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, এই বিলের বিরোধিতা করুন এবং দেশের আত্মাকে বাঁচান। তাঁর ডাকে ৫ জন মুখ্যমন্ত্রী সাড়াও দেন।
এরপরই নড়েচড়ে বসে জেডিইউ শীর্ষ নেতৃত্ব। যে সমস্ত নেতারা পার্টিলাইন ভেঙে এই বিলের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের উদ্দেশে কড়া বার্তা পাঠায় সংযুক্ত জনতা দল। শোকজ নোটিস পাঠানো হয় প্রশান্ত কিশোরকে। জেডিইউয়ের এক সাংসদ আবার শুক্রবার ঘোষণাই করে দেন, যাঁরা যাঁরা দলে থেকে এই বিলের বিরোধিতা করছেন, তাঁরা বেরিয়ে যেতে পারেন। তারপরই তলব করা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে। পিকের সাথে নীতীশের এই মতবিরোধ নতুন কিছু নয়। সূত্রের খবর, নীতীশ কুমারের বিজেপির সাথে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি পিকে। তারপর থেকেই দুজনের দূরত্ব বাড়ছে। এমনকী, সম্প্রতি জেডিইউয়ের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনেও অংশ নেননি তিনি। অনেকে মনে করছেন, এবার পাকাপাকিভাবে প্রশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানতে পারেন নীতীশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.