সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতিতে পা রাখার আগেই হাবভাব বদলে ফেললেন আই-প্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর! এতদিন যে পিকে (PK) সচরাচর রাজনীতিবিদদের ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকতেন, এবার তিনি একপ্রকার লাগামছাড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিহারের মহাজোটের নেতাদের। ঘুরিয়ে তেজস্বী যাদবকে (Tejaswi Yadav) নিষ্কর্মা এবং বিহারের মহাজোট সরকারকে খোঁড়া সরকার বলে কটাক্ষ করলেন।
এই মুহূর্তে বিহারে জন সূরজ যাত্রায় বেরিয়েছেন প্রশান্ত (Prashant Kishor)। বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে মানুষের মতামত সংগ্রহ করেছেন। এ সবটাই আসলে সক্রিয় রাজনীতিতে নামার প্রস্তুতি। পিকে যখন এই যাত্রা শুরু করেছিলেন তখনও বিহারে শাসকের আসনে ছিল বিজেপি (BJP)। তিনি আক্রমণ শানাচ্ছিলেন গেরুয়া শিবিরকে। মাঝে বিহারে পালাবদল হয়ে গিয়েছে। ক্ষমতায় এসে গিয়েছে নীতীশ কুমার-তেজস্বী যাদবের জোট সরকার। স্বাভাবিকভাবেই পিকের আক্রমণের অভিমুখও পালটে গিয়েছে। এখন প্রায় নিয়মিত নিশানা করছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এবং তেজস্বী যাদবকে।
তেজস্বী যাদব বিধানসভা ভোটের (Assembly Election) আগে বিহারে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই আশ্বাস এখনও পূরণ হয়নি। পিকে বলছেন, তেজস্বী লোককে চাকরি দেবে কী করে? ও যদি লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে না হত, নিজেই একটা চাকরি জোটাতে পারত না। সবাই জানে, ও ১০ লক্ষ চাকরি দিতে পারবে না। ও যদি লালু যাদবের ছেলে না হত, তাহলে কীসের চাকরি করত? পিকের বক্তব্য, বিহারবাসীকে ভুল বোঝানোর জন্য তেজস্বীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।
শুধু তেজস্বী নন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় ছিলেন। তিনি বলছেন, “নীতীশ কুমার খোঁড়া সরকার চালাচ্ছেন। গোটা দেশের কথা ছেড়ে নীতীশের এখন উচিত বিহারের দিকে মনসংযোগ করা। যে দলের একজনও সাংসদ নেই, তাঁরা গোটা দেশে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। যার নিজের ক্ষমতা শূন্য, তারা কিনা সব বিরোধী দলকে একত্রিত করার কথা ভাবছে।” বস্তুত, পিকে (PK) দীর্ঘদিন ধরে নিজের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করে গিয়েছেন। কিন্তু এবার সেই নিরপেক্ষতার আড়াল থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক অবস্থান নেওয়া শুরু করে দিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.