সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় যদি প্রথম সারিতে কেউ থেকে থাকেন, তাহলে তিনি প্রশান্ত কিশোর। বিলটি লোকসভায় পেশ হওয়ার পর থেকে রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর্যন্ত লাগাতার তীব্র ভাষায় এর বিরোধিতা করে গিয়েছেন তৃণমূলের ভোটকৌশলী। নিজের দল জেডিইউয়ের পার্টি লাইনের বিরুদ্ধে গিয়ে সমালোচনা করেছেন মোদি-শাহর। এবার তিনি উদ্যোগী হলেন এই আইনের বিরুদ্ধে অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের একত্রিত করতে। ১৬টি রাজ্যের অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে পিকের অনুরোধ, আপনারা একজোট হোন। দেশের আত্মাকে বাঁচান।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে শুরু থেকেই বিজেপির বিরোধিতা করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, বাংলায় তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হতে দেবেন না। একই কথা জানিয়ে দিয়েছেন, পাঞ্জাবের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং কেরলের বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। প্রশান্ত কিশোরের আহ্বান, এই তিনজন যে পথ দেখিয়েছেন, সেই পথে হাঁটা উচিত অবিজেপি ১৬ জন মুখ্যমন্ত্রীরই। একটি টুইটে জেডিইউ নেতা বলছেন, “সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠদের জয় হয়েছে। কিন্তু, সমস্ত নিয়ম-কানুন এবং আইনের বাইরে গিয়ে দেশের আত্মাকে বাঁচানোর দায়িত্ব এখন ১৬ জন মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ, রাজ্য সরকারের হাতেই দায়িত্ব থাকবে এই নয়া আইন বলবৎ করার। তিনজন মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসিকে ‘না’ বলে দিয়েছেন। এবার অন্যদেরও সেই পথে হাঁটার পালা।”
এদিকে, বারবার NRC এবং CAB-এর বিরোধিতা করায় প্রশান্ত কিশোরের উপর ব্যাপক খাপ্পা নীতীশ কুমার। ইতিমধ্যেই জেডিইউ-এর তরফে পিকে’কে শোকজ করা হয়েছে। কেন এত দলবিরোধী অবস্থান? তা স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ভোটকৌশলীকে। সূত্রের খবর, নীতীশ কুমার তথা জেডিইউ নেতৃত্ব যদি প্রশান্ত কিশোরের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে তাঁকে বড়সড় শাস্তি পেতে হতে পারে। এমনিতেও, ইদানিং আর জেডিইউয়ের কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না প্রশান্ত কিশোরকে। সম্প্রতি দলের আভ্যন্তরীণ নির্বাচনেও অংশ নেননি তিনি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ঘটনাক্রম যেদিকে এগোচ্ছে তাতে খুব শীগগিরই জেডিইউ এবং প্রশান্ত কিশোরের বিচ্ছেদ হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.