সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৪ সালে আন্তরাত্মার ডাক শুনে যখন নিজেকে প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড় থেকে সরিয়ে নিলেন সনিয়া গান্ধী, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, দেশের প্রশাসনের শীর্ষ পদে তাঁকেই বসানো হবে। কিন্তু, বাস্তবে তেমনটা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হলেন মনমোহন সিং। তবে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন থাকলেও, গত ১৩ বছরে এ নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। বরং শুক্রবারই এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মনমোহন সিংয়ের প্রতি সনিয়ার গান্ধীর আস্থা যুক্তিসঙ্গত। সেসময় প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্যতম ছিলেন তিনি।’ আর এবার প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হতে না পারা নিয়ে নীরবরতা ভাঙলেন খোদ মনমোহন সিং।
[কংগ্রেস ঠিক ফিরে আসবে, প্রত্যয় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের]
কী বললেন ইউপিএ জমানার দু’বারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী? শুক্রবার দিল্লিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়েরই একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মনমোহন সিং। সেখানে তিনি বলেন ‘২০০৪ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ক্ষুদ্ধ হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। প্রধানমন্ত্রী পদে আমার থেকে যোগ্যতর ছিলেন তিনি। কিন্তু, আমার কিছু করার ছিল না। কারণ আমাকে প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য বেছে নিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।’ তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মনমোহন সিং যথন এই মন্তব্য করছেন, তখন মঞ্চে ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায় স্বয়ং। মঞ্চে ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সমাজবাদী পার্টি নেতা ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডির মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। এমনকী, দর্শকাসনের প্রথম সারিতে বসেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীও।
[বাজি নিষিদ্ধ নিয়ে কেন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি? ব্যথিত সুপ্রিম কোর্ট]
প্রসঙ্গত, রাজীব গান্ধীর মন্ত্রিসভায় প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন অর্থমন্ত্রী, তখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর ছিলেন মনমোহন সিং। আবার মনমোহন সিংয়ের প্রধানমন্ত্রীত্বে অর্থ, বিদেশ, প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন প্রণব। তবে ইউপিএ জমানায় তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন কেমন ছিল, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের জল্পনার অন্ত নেই। অনেকেই বলেন, অর্থনীতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধ হত তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্যের। তবে যে যাই হোক না কেন, সৌজন্যের প্রশ্নে প্রণব মুখোপাধ্যায় ও মনমোহন সিং, কেউ যে কম যান না, তারই প্রমাণ মিলল।
[ফেসবুক সহায়, নাবালিকা বিবাহ প্রমাণ করে মুক্তি তরুণীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.