সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস করেন দু’জনে। এই বিশ্বাসেই দুই দলে বিভক্ত। কিন্তু প্রশাসনিক পদের মর্যাদায় জড়িয়ে গিয়েছেন সম্পর্কে। যে সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের চৌহদ্দিতে চলে এসেছে। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিদায়বেলায় তাই আবেগের জোয়ারে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রশাসনিক কাজ সামলাতে কীভাবে বাবার মতোই পথ দেখিয়েছেন ‘প্রণবদা’, সে কথা তুলে ধরলেন সকলের সামনে।
[বিমানে অভাব অক্সিজেনের, শ্বাসকষ্ট নিয়েই সফর যাত্রীদের]
রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি – এ স্টেটসম্যান’ বইটি। সেই উপলক্ষেই রাইসিনা হিলসে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই ‘প্রণবদা’ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মোদি। জানান, নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন তিনি। কারণ প্রধানমন্ত্রী পদে বসেই রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষের সাহচর্য পেয়েছেন। রাজনীতির প্রতিটা পদক্ষেপে তাঁর পরামর্শ সাহায্য করেছে দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করতে।
[বঙ্গোপসাগরের তীরে অত্যন্ত গোপনে কী কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা?]
রাজনৈতিক বিশ্বাসে আজীবন কংগ্রেসের সঙ্গে থেকেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। আর মোদি বিজেপির প্রতিনিধি। কিন্তু এই পার্থক্য কখনও দু’জনের সুসম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। যখনই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা হয়েছে, পিতৃসুলভ ভালবাসায় তাঁকে ‘প্রণবদা’ আপন করে নিয়েছেন বলে জানান মোদি। কাজ তো করতেই হবে, কিন্তু বিশ্রাম নেওয়াটাও যে কতটা জরুরি সে কথা বারবার তাঁকে বুঝিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ‘মোদিজি’কে বলেছেন, হার-জিৎ তো লেগেই থাকবে কিন্তু একটি মানুষের জীবনে অর্ধেক দিন বিশ্রাম নেওয়াটা খুবই জরুরি। তাই সফরসূচি একটু কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিজের শরীরের খেয়াল রাখতে বলেছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। এই কারণেই কেবল রাষ্ট্রপতি নন, একজন গুরু ও অভিভাবকের মতোই তাঁর জীবনের সঙ্গে ‘প্রণবদা’ জড়িয়ে থাকবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
[নাবালিকার সামনে হস্তমৈথুন, জানেন কী শাস্তি হল এক ব্যক্তির?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.