সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্রের মন্দিরে দাঁড়িয়ে জাতির জনকের হত্যাকারীকে ‘দেশভক্ত’ বললেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে। সংসদে এসপিজি সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা চলার সময় ডিএমকে সাংসদ এ রাজা নাথুরাম গডসের একটি উদ্ধৃতি পাঠ করছিলেন। সেসময় শাসক শিবির থেকে প্রজ্ঞা বলে ওঠেন, “দেশভক্তদের উদাহরণ নেবেন না।” সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। প্রজ্ঞাকে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানান তাঁরা। খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি। দলের অন্য সাংসদরা ভোপালের সাংসদকে বসে যেতে অনুরোধ করেন।
কিন্তু, ওই পর্যন্তই। বিজেপির তরফ থেকে প্রজ্ঞার এই ‘দেশভক্ত’ মন্তব্য নিয়ে আর কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে, এই প্রথম নয়। এর আগেও গান্ধীর হত্যাকারীকে দেশভক্ত বলেছেন প্রজ্ঞা। তারপরও বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। সেসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনি সারা জীবনে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে ক্ষমা করতে পারবেন না। কিন্তু, কালক্রমে দেখা যায় শাস্তি পাওয়া তো দূরের কথা প্রথমবার সংসদে এসেই প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ঠাঁই পেয়ে যান ভোপালের সাংসদ। যা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে গান্ধীজির বড় অনুগামী। তাঁর বিভিন্ন কর্মসূচিতে রয়েছে গান্ধীর মতাদর্শের ছাপ। বারবার বিভিন্ন সময় গান্ধীর আদর্শের কথা বলতেও শোনা যায় তাঁকে। অথচ, তাঁর দলেরই এক সাংসদ সংসদে দাঁড়িয়ে গান্ধীর হত্যাকারীকে দেশভক্ত বলে বসলেন। যা নীরব বিজেপি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। আরজেডির তরফে তোপ দেগে বলা হয়েছে, এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। কংগ্রেস বলছে, বিজেপির মুখোশ খুলে গেল। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি কংগ্রেসের। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে, বৃহত্তর আন্দোলনেরও পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.