স্টাফ রিপোর্টার: বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাশ করে দেশে ফিরে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করছিলেন। কিন্তু দেশের ‘স্ক্রিনিং টেস্টে’ই পাশ করেননি। অভিযোগ, জাতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের (National Medical Council) কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্যকে ঘুষ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর পকেটে পুরেছিলেন তাঁরা। দেশের ১৪টি রাজ্যের এমন ৭৩ জন চিকিৎসককে (Doctor) চিহ্নিত করছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI। তবে স্বস্তি একটাই, পশ্চিমবঙ্গের এমন কোনও চিকিৎসকের নাম ওই তালিকায় নেই।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডা. সুদীপ্ত রায়ের কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের কোনও চিকিৎসক এই তালিকায় নেই। বিদেশ থেকে পাশ করে আসা ডাক্তারদের যেমন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়, তেমনই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের থেকেও রেজিস্ট্রেশন নিতে হয়। আমাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই।’’
ঘটনা হল, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জার্মানি ছাড়া অন্য যে কোনও দেশ থেকে ডাক্তারি পাশ করে দেশে এসে প্র্যাকটিস করতে গেলে নিয়ম মেনে ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। তারপরই রেজিস্ট্রেশন মেলে। সেই ছাড়পত্র সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট রাজ্য ছাড়পত্রও দেয়। জাতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্যের নজরে এবং এফএমজিআই পরীক্ষা পরিচালনকারী কেন্দ্রীয় সংস্থার ২০২১-২২ সালের অডিটে ধরা পড়ে ৭৩ জন বিদেশ ফেরত ডাক্তার এফএমজিআই পরীক্ষায় পাশ না করে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করছেন।
অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে জানা যায়, ঘুষ দিয়েই তাঁরা কাজ হাসিল করেছেন। স্বাস্থ্যকর্তারা চিন্তিত, এমন অকৃতকার্য চিকিৎসকরা যদি দেশজুড়ে প্র্যাকটিস করেন, তবে অসংখ্য নাগরিকের স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়াবে। এনবিই-র লেখা চিঠির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ফৌজদারি, যড়যন্ত্র, জালিয়াতি, প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকদের ডেরা হিসাবে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসম, রাজস্থান, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু-সহ ১৪টি রাজ্যের নাম উঠে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.