সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি এই কেন্দ্রের সাংসদ। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দেশের অন্যতম হাই প্রোফাইল কেন্দ্র এখন বারাণসী। সেখানেই কিনা নরেন্দ্র মোদির নামে ‘মিসিং’ পোস্টার পড়ল। বারাণসীর বেশ কিছু জায়গায় এমন পোস্টার ছেয়ে যায়। পোস্টার পুলিশ সরিয়ে দিলেও, তৈরি হয়েছে একরাশ বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধীদের মদতে কেউ এই কাজ করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সময় নরেন্দ্র মোদি বারাণসীর জন্য অনেক কথা বলেছিলেন। তিন বছর পরও বারাণসীর হাল না ফেরায় হতাশায় কেউ এমন করতে পারে বলে পালটা জবাব দিয়েছে বিরোধীরা।
এলাকার জনপ্রতিনিধিকে দেখতে না পেলে ‘লাপাতা’ বা নিখোঁজ পোস্টার সাঁটানো এখন নতুন চল। কয়েক দিন আগে আমেঠিতে রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে হয়েছিল। মথুরার সাংসদ হেমা মালিনীর ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। এবার বিড়ম্বনার শিকার নরেন্দ্র মোদি। নিজের নির্বাচনী এলাকাতেই অস্বস্তিতে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের এই ঐতিহাসিক শহরের কয়েকটি জায়গায় পোস্টার পড়ে বারাণসীর সাংসদ নিখোঁজ। শুধু ছবি সাঁটিয়ে থামা নয়, বিদ্রুপে ভরিয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। একটি জনপ্রিয় গানের অনুকরণে পোস্টারে লেখা হয়, ‘জানে ও কওন সা দেশ জাহা তুম চলে গয়ে।’ অর্থাৎ, জানি না কোন দেশে তুমি চলে গেছ। এক্ষেত্রে মোদির ঘনঘন বিদেশযাত্রা যে নিশানা তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে পোস্টার লেখা হয় যদি প্রধানমন্ত্রীকে না পাওয়া যায় তাহলে পুলিশে এফআইআর করতে হবে।
পুলিশ অবশ্য দ্রুত পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলে। নিজের সংসদীয় এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর এমন ‘অপমানে’ বিজেপির অন্দরে ঝড় উঠেছে। যে এলাকায় বিজেপির নিরঙ্কুশ দাপট সেখানে কে বা কারা এমন কাজ করে উধাও হয়ে গেল তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি বিরোধীদের দিকেও আঙুল তুলেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র একাধিকবার এসেছেন। বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে বারাণসীতে। এরপরও এমন পোস্টারে স্পষ্ট বিরোধীদের মদতেই এই ঘৃণ্য কাজ করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির মিসিং পোস্টারে গলার জোর বেড়েছে বিরোধী দলগুলির। তাদের পালটা অভিযোগ, ভোটের সময় অনেক কথা বললেও মোদির জমানায় বারাণসীর আদৌ কোনও উন্নয়ন হয়নি। বিধানসভা ভোটের সময় মোদিকে বারাণসীতে এনে ভোট কুড়িয়েছে বিজেপি। মানুষ ‘চালাকি’ ধরে ফেলেছে বলে জবাব দিয়েছে বিরোধীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.