Advertisement
Advertisement

এয়ারস্ট্রাইকের পর স্ট্র্যাটেজি বদল! ৩ রাজ্যে জোট নিয়ে নতুন ভাবনা কংগ্রেসের

দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও এরাজ্যে জোট স্ট্র্যাটেজি পুনর্বিবেচনা করছেন রাহুল।

Post air strike Congress rethinks poll strategy
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 2, 2019 5:10 pm
  • Updated:March 2, 2019 5:29 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন ঠিক ছিল জোট নিয়ে রাজ্য নেতৃ্ত্বের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সেকথা রাজ্য নেতাদের জানিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইকের পর পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। অন্তত ৩টি রাজ্যে জোট নিয়ে স্ট্র্যাটেজি পুনর্বিবেচনা করছে কংগ্রেস। এমনটাই খবর এআইসিসি সূত্রের। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, দলের অনেকেই মনে করছেন এতদিন পর্যন্ত মনে হচ্ছিল মোদির পক্ষে ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়া মুশকিল। কিন্তু এয়ারস্ট্রাইকের পর পরিস্থিতি পালটেছে। খানিকটা হলেও অ্যাডভান্টেজ পেয়ে গিয়েছেন মোদি। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে জোট নিয়ে পুনরায় ভাবতে শুরু করেছে কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব।

[এক সংঘসেবকের পরাক্রমই ফিরিয়ে আনল অভিনন্দনকে, স্মৃতির মন্তব্যে বিতর্ক]

দিল্লিতে ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোটের ব্যপারে সবুজ-সংকেত দিয়ে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। প্রদেশ সভানেত্রী শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বে, এবার আপের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আলোচনা করবে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই, এ নিয়ে দিল্লির দুই শীর্ষনেতা পি সি চাকো এবং শীলা দীক্ষিতের আলোচনা হয়েছে। আম আদমি পার্টি শুরু থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে ইচ্ছুক। রাজি ছিল না কংগ্রেসই। প্রদেশ নেতাদের কেজরিওয়ালের সঙ্গে হাত মেলানোতে তীব্র আপত্তি ছিল। কিন্তু গত ১৩ ফেব্রুয়ারির বিরোধী বৈঠকে রাহুলকে বোঝান চন্দ্রবাবু নায়ডু, শরদ পাওয়ার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই বদলায় পরিস্থিতি। কংগ্রেসের তরফে দাবি, তাঁরা ৩টি আসনে লড়বে, ৩টি আসন ছাড়া হবে আপের জন্য। আর একটি আসন দুই দলের মতামত নিয়ে কোনও সেলিব্রিটিকে দাঁড় করানো হবে। যদিও, কংগ্রেসের ৩টি আসনের দাবি মানতে নারাজ আপ।ইতিমধ্যেই ৬ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন কেজরিওয়াল।

Advertisement

[পাকিস্তানের অস্ত্রের জোগান আটকাতে তৎপর নয়াদিল্লি, তৈরি ব্লু-প্রিন্ট]

এদিকে, উত্তরপ্রদেশেও নতুন করে জোট নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। অখিলেশ যাদবের মাধ্যমে কংগ্রেস নেতারা মায়াবতীকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। প্রাথমিকভাবে কংগ্রেস ২৬টি আসনের তালিকা তৈরি করেছে। দলীয় সূত্রের খবর, এই ২৬টি আসনে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানে শেষ করার ব্যপারে আশাবাদী হাত শিবির। এর মধ্যে ১৭টি আসন জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। জোট হলে বাকি গুলিতেও সম্ভাবনা দেখছেন তারা। কিন্তু মুশকিল হল কংগ্রেসের এই দাবি মানতে নারাজ মায়াবতী। তাঁর সঙ্গে সরাসরি কোনও যোগাযোগও নেই কংগ্রেস নেতাদের। যা কথাবার্তা, তা হচ্ছে অখিলেশের মাধ্যমে। আপাতত ভাতিজাই বুয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কাজ না হলে আগামী দিনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজে মায়াবতীকে ফোন করবেন বলে খবর।

এরাজ্যেও জোট নিয়ে পুনর্বিবেচনা শুরু হয়েছে বলে, নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। আপাতত এরাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে আসন সমঝোতা প্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস। কিন্তু এআইসিসির একাংশ চাইছে তৃণমূলের সঙ্গেই জোট হোক। তবে, এ বিষয়ে তৃণমূল আগেই অবস্থান স্পষ্ট করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি তিন দলের বিরুদ্ধেই লড়ার ক্ষমতা আছে তাঁর দলের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement