সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণে মুখ ঢেকেছে দিল্লি। ধোঁয়াশায় মুড়ে রাজপথ। বাতাসে ভাসছে বিষ। বিশুদ্ধ বায়ু? সে তো অতীত! হাঁসফাঁস দশা দিল্লিবাসীর। হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে বাতাসের গুণমাণের সূচক। এবার ধোঁয়াশা, দূষণে জেরবার সাধারণ মানুষ। কপালে ভাঁজ পরিবেশবিদদের। কারণ, প্রাণভরে শ্বাস নেওয়া দায় হয়েছে দিল্লিতে। দীপাবলির পর যেন সেই দূষণ আরও বিকটাকার ধারণ করেছে। আর তাই দূষণে জর্জরিত দিল্লিবাসীদের রেহাই দিতে এল ‘অক্সি বার’।
‘অক্সি বার’-এর মতো এই অভিনব উপায় নিয়ে হাজির হয়েছে ‘অক্সি পিওর’। দিল্লিবাসীকে উদ্দেশ্য বিশুদ্ধ অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া। বুক ভরে, প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে খরচ মাত্র ২৯৯ টাকা। যে কেউ দিল্লির দূষিত বাতাস থেকে মুক্তি পেতে এবং বিশুদ্ধ অক্সিজেন পেতে চাইলে আসতে পারেন এই ‘অক্সি বার’-এ। দিল্লির সাকেত এলাকায় চালু হল এই অভিনব পরিষেবা।
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল ঘন ধোঁয়ার আস্তরণে ঢাকা পড়েছিল রাজধানী। শুক্রবারও সেই পরিস্থিতির হেরফের হয়নি। আজও দিল্লি গ্যাস চেম্বার। সকাল থেকেই বাতাসে ঘন ধোঁয়াশা। বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে রোজ অসুস্থ পড়ছে শত শত দিল্লিবাসী। আর সেই দূষণের হাত থেকে বাঁচতেই সকাল-সন্ধে ‘অক্সি বার’-এ ভীড় জমাাচ্ছেন দিল্লির লোকেরা। কারণ, ২৯৯ টাকা খরচা করে মাত্র মিনিট পনেরোর মধ্যেই মিলছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন। চাইলে আবার এই অক্সিজেনের সঙ্গে ভিন্ন ফ্লেভারও যোগ করে নিতে পারেন। সিন্যামন, স্পিয়ারমিন্ট, পিপারমেন্ট, ইউক্যালিপটাস, ল্যাভেন্ডার. কোনটা চাই আপনার? বারে বললেই অক্সিজেনের সঙ্গে পছন্দমতো ফ্লেভার মিশিয়ে নিতে পারবেন।
এই বছরের মে মাসেই ‘অক্সি পিওর’ নামের এই অক্সিজেন বার খোলা হয়। এখানে কর্মরত বনি ইরেংহামের কথায়, “বিশুদ্ধ অক্সিজেন শরীরে গেলে অনিদ্রার সমস্যা থেকে মেলে রেহাই, রাতে ঘুম হয়, মন শান্ত থাকায় মনসংযোগ করতেও সুবিধে হয়। মানসিক অবসাদও কেটে যায়।” অতঃপর দিন দিন যে এই ‘অক্সি বার’-এর চাহিদা বেড়েই চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। এই ‘অক্সি বার’-এর চাহিদার কথা মাথায় রেখেই সাকেতের পর দিল্লি বিমানবন্দরের কাছেও একটি বার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। রিপোর্ট বলছে, দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, প্রায় নিখরচায় বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ মিললেও বিশুদ্ধ অক্সিজেন পেতে ঘণ্টায় গুনতে হবে প্রায় ১২,০০০ টাকা!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.