সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি হাই কোর্টের প্রবীন বিচারপতি এস মুরলীধরের (S Muralidhar)বদলি ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বুধবার গভীর রাতে বিচারপতি এস মুরলীধরের বদলির নির্দেশ আসে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে বদলি করা হয়েছে তাঁকে। বুধবারই তাঁর এজলাসে দিল্লি হিংসা নিয়ে শুনানি চলাকালীন কেন্দ্র, দিল্লি সরকার ও দিল্লি পুলিশকে তাঁর তোপের মুখে পড়তে হয়। তারপরই রাতে বিচারপতির বদলির নির্দেশকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয় কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। প্রতিটি ঘটনাকে একসূত্রে বেঁধে দুইয়ে দুইয়ে চার করতে ছাড়ছে না বিজেপি বিরোধী শিবির।
বিচারপতির বদলির জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সরব হয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা মন্তব্য করেছেন, “দিল্লির এই হিংসা রুখতে যেভাবে বিচারপতি বেআব্রু করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে তাতেই কার্যত শিরে সংক্রান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। তাই তড়িঘড়ি রাতেই এই প্রবীন বিচারপতিকে বদলির সিদ্ধান্ত জানান হয়েছে। এইভাবেই পালিয়ে বাঁচতে চান পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতারা।”
Justice S. Muralidhar of High Court bench ordered registration of FIR against the BJP leaders as per IPC within 24 hours on the basis of the said videos. But in order to save the BJP leaders, the Ministry of Law & Justice transferred Justice S. Muralidhar overnight: @rssurjewala
— Congress Live (@INCIndiaLive) February 27, 2020
তবে কংগ্রেসের এই দাবিকে নস্যাৎ করে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ জানান, “এটা একটা রুটিন বদলি। আগে থেকেই বিচারপতি এস মুরলীধরের বদলি হওয়ার নির্দেশ জারি ছিল। এর সঙ্গে দিল্লি হিংসা মামলা শুনানির কোনও সম্পর্ক নেই। ১২ ফেব্রুয়ারি মুরলীধরকে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বদলির জন্য প্রস্তাব দেয়।” সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “সংবিধানের ২২২ নম্বর ধারার ১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাই হরিয়ানা হাই কোর্টে বদলি করা হয় দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরকে৷”
বৃহস্পতিবার সকালেই কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সূরজেওয়ালা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “দিল্লিতে হিংসা ছড়াতে যে সকল বিজেপি নেতারা উসকানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন বিচারপতি এস মুরলীধর। তার জেরেই বিজেপি নিজের পিঠ বাঁচাতে পত্রপাঠ বিদায় করে দিচ্ছেন বিচারপতিকে। দিল্লির এই হিংসা প্রাণ কেড়েছে ৩৪ জনের।” সূরজেওয়ালার এই মন্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য করার অধিকার নেই কংগ্রেসের। পরিবারতান্ত্রিক এই দলটি প্রতিদিনই কোর্টের অবমাননা করতে, দেশের সেনা ও প্রধানমন্ত্রীকে ছোট করতে নানা রকমের মন্তব্য করে যায়।”
অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী সোহরাবুদ্দিন হত্যা মামলা চলাকালীন বিচারপতি লোয়ার মৃত্যুর ঘটনাকে এই ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, “২০১৭ সালে বিচারপতি লোয়ার মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। পরে দেশের শীর্ষ আদালত বিচারপতি লোয়ার মৃত্যু মামলাকে একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলে পিটিশন খারিজ করে দেয়।”
Remembering the brave Judge Loya, who wasn’t transferred.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 27, 2020
রবিশঙ্কর প্রসাদ রাহুলের টুইটের পালটা হিসেবে বলেন, “যথেষ্ট স্বচ্ছভাবে বিচারপতি লোয়ার মামলাটির সমাধান করা হয়। তবে রাহুল গান্ধী কি নিজেকে শীর্ষ আদালতের থেকেও উচ্চ ব্যক্তিত্ব বলে মনে করেন?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.