স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: মুদ্রাস্ফীতিতে নাজেহাল নিম্ন মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবীদের জন্য ‘সাময়িক স্বস্তি’-র খবর আনতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রভিডেন্ট ফান্ডের (Provident Fund) নীতি বদল করতে চলেছে সরকার, বদল আসতে পারে পিএফ কাটার মাপকাঠিতে, এমনটাই খবর সরকারি মহলে। কোভিডে চাকরি হারানো। বেতন কমে যাওয়া। প্রায় রোজ পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। যার জেরে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামও। সম্প্রতি বেশ কিছু ওষুধও দামী হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত রিজার্ভ ব্যাংকের সতর্কবার্তা। সব মিলিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বেশিরভাগ দেশবাসী।
রোজগার যাঁদের কম, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও প্রবল। শোনা যাচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নীতিতে বদল এনে এই অংশের মানুষদের জন্য সাময়িক স্বস্তি দিতে চলেছে কেন্দ্র। বর্তমানে ১৫ হাজার টাকা বেতন হলেই ১২ শতাংশ হারে পিএফ কাটা হয়ে থাকে। এই মাপকাঠিতেই বদল আসতে পারে বলে খবর। ইতিমধ্যেই নাকি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক।
ডিএ (DA) নির্ধারণের ক্ষেত্রে মাপকাঠি করা হয় ক্রয়ক্ষমতার সূচককে। সেই ধরনের কোনও পদ্ধতি মেনেই ভবিষ্যতে পিএফ কাটার ন্যূনতম বেতনসীমা নির্ধারণ করা হতে পারে বলে খবর। অবশ্য এক্ষত্রে হয়তো হাতে কিছু বেশি নগদ থাকবে, কিন্তু অ্যাকাউন্টে ভবিষ্যতের জন্য যে টাকা জমত, তা কম যাওয়ায় অথবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আখেরে খুব একটা লাভবান হবেন না তাঁরা। জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষের পিএফ-এর সুদ জুন মাসের মধ্যে চলে আসতে পারে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে।
প্রসঙ্গত, একদিকে যখন প্রভিডেন্ট ফান্ডের নীতিতে বদল এনে নিম্নবিত্তদের স্বস্তির কথা ভাবছে কেন্দ্র, অন্যদিকে তখন চার রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (EPFO) সুদের হার কমিয়েছে মোদি সরকার। যার জেরে মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবীদের সঞ্চয়ে টান পড়েছে। কেন্দ্রের এই ‘অমানবিক’ পদক্ষেপের সমালোচনা করে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি কটাক্ষ করেন, উত্তরপ্রদেশে জিতে ‘উপহার’ দিয়েছে মোদি সরকার। গণ আন্দোলন গড়ে কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে বাধ্য করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.