সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার ফুটের জঙ্গিনেতা ছোটা নুরের মৃত্যুর বদলা নিতেই পুলওয়ামার লিথোপোরার সিআরপিএফ ক্যাম্পে নাশকতা চালিয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ।এমনই অভিযোগ করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ। হামলায় মৃত আত্মঘাতী জঙ্গি ফরদিন আহমেদের একটি ভিডিও সেনার হাতে এসেছে। আট মিনিটের ভিডিও বার্তায় তিনটি আক্রমণাত্মক রাইফেল, গ্রেনেড, গোলাবারুদের ঘেরাটোপ থেকে উপত্যকার তরুণদের উদ্দেশ্যে রীতিমত গর্জন করছে ফারদিন। গোটা দেশ জুড়ে নাশকতা চালানোর হুমকি দিচ্ছে সে। পাশপাশি জইশ-ই-মহম্মদে যোগ দেওয়ার জন্য তরুণদের কাছে আবেদন রাখছে। নিজেই বলছে, ঈশ্বরের ইচ্ছায় যখন এই বার্তা তোমাদের কাছে পৌঁছবে ততক্ষণে আমি স্বর্গে ঈশ্বরের অতিথি হয়ে গিয়েছি।
[মহিলাদের সরকারি প্রকল্পের খবর চান? ‘নারী’-তে ক্লিক করুন]
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির গড় দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল। সেখানকারই বাসিন্দা ছিল তিন বোমারু জঙ্গির তালিকায় থাকা এই বছর ১৬-র ফারদিন। মাস তিনেক আগেই পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদে যোগ দেয় সে। মৃত জঙ্গির দেহ থেকে ২৪টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘ পরিকল্পনা করেই আত্মঘাতী বোমারু জঙ্গিদের ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল। চারতলা সিআরপিএফ ক্যাম্পে চারদিন ধরে নাশকতা চালানোর একটা ছকও কষা ছিল। পরিকল্পনা মাফিক নাশকতা চালানোর জন্য মৃত জইশ জঙ্গি চার ফুটের নুর মহম্মদ তান্ত্রে বা ছোটা নুরের কাছে রীতিমত প্রশিক্ষণ নিয়েছিল তিনজন।মূলত ছোটা নুরের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই এই নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নভেম্বরেই এক সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো তালহার রশিদের। তার ঠিক পরেই ছোটা নুরের মৃত্যু জঙ্গি সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ কাঠামোকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সিআরপিএফ ক্যাম্পে রবিবার রাত দুটো নাগাদ প্রথম আঘাত হানে বোমারু জঙ্গিরা। গ্রেনেড ও গুলি ছুড়ে প্রথমে ১৮৫ ব্যাটেলিয়নের ক্যাম্পের পাঁচিল ভাঙে। এই হামলায় ৫ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। গোয়েন্দা মারফত হামলার আগাম বার্তা আগেই সিআরপিএফের কাছে পৌঁছেছিল। না হলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.