Advertisement
Advertisement
Shraddha Walkar

প্রেমিকার কাটা মাথা পুকুরে ফেলেছিল আফতাব! সন্ধানে ডুবুরি নামাল পুলিশ

আফতাব পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, দাবি তদন্তকারীদের।

Police deploy divers to search for Shraddha’s head in pond। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:November 20, 2022 6:44 pm
  • Updated:November 20, 2022 7:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shraddha Walkar) শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala)। অনেকগুলিই উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও অধরা শ্রদ্ধার মাথা। মনে করা হচ্ছে, ছাতারপুরের কোনও পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে সেটি। যা খুঁজে বের করতে মরিয়া তদন্তকারী অফিসাররা।

প্রাথমিক ভাবে মাথা উদ্ধার করতে পুকুরের সব জল ছেঁচে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। কিন্তু এই আইডিয়া বেশ কঠিন। তাই এবার অন্য প্ল্যান। পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে ছিন্নমস্তকটি উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আফতাব তদন্তে সেভাবে সাহায্য করছে না বলে জানা গিয়েছে। উলটে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পেশ করে সে তদন্তের গতিপথকেই বিভ্রান্ত করছে বলে দাবি পুলিশের। তাই ঘটনার পুনর্নিমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রদ্ধার দেহাংশগুলি উদ্ধার করাটাও অত্যন্ত জরুরি বলেই ধারণা তদন্তকারীদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসে বিয়ের আসর, সাত পাকে বাঁধা পড়লেন বাইডেনের নাতনি]

প্রসঙ্গত, শনিবারই আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে ভারী ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, ওই অস্ত্রগুলির সাহায্যে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিল সে। সামনে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে কাকভোরে নিজের বাড়ির বাইরে হাঁটতে দেখা গিয়েছে আফতাবকে। তার সঙ্গে দুটি ব্যাগ রয়েছে। পুলিশের অনুমান, ওই ব্যাগের মধ্যেই তার প্রেমিকার দেহাংশ ছিল।

এদিকে গত ২০ দিন ধরে পাত্তা নেই আফতাবের পরিবারের। সমস্ত সদস্যের ফোনও বন্ধ। মহারাষ্ট্রের ভাসাইয়ে তাঁরা থাকতেন। কিন্তু আফতাবের ‘কীর্তি’ প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ি তালাবন্ধ করে অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: ‘এই প্রেমহীন সময়ে বলছি তোমায় ভালবাসি,’ সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার রূপকথার সাক্ষী সমাজ]

উল্লেখ্য, প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছিল প্রেমিক আফতাব। ১৮ দিন ধরে সে এই কাজ করে। শ্রদ্ধার ‘অপরাধ’ ছিল প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া। অথচ আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে চলে আসেন দিল্লিতে। দু’জনের আলাপ হয়েছিল কল সেন্টারের চাকরি সূত্রে। যদিও বিধর্মীর প্রেমে পড়া পছন্দ ছিল না শ্রদ্ধার পরিবারের। এমন অবস্থায় লিভ-ইন করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রদ্ধা-আফতাব। তাঁরা দিল্লির মেহেরৌলিতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছিলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement