সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ পড়ুয়াদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত ৩০০-রও বেশি পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি অসুস্থ ৯ জনকে শিক্ষককেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। এরপরে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমি জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’ এর সঙ্গেই যোগ করেন, যেসমস্ত পড়ুয়ারা সুস্থ বোধ করছে, তাদের বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিন সকালে তুঘলকাবাদের রেল কলোনি সংলগ্ন রানি ঝাঁসি সর্বদয়া কন্যা বিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্যাঙ্কার থেকে হঠাৎই গ্যাস লিক করতে থাকে। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। অনেকেই চোখে, গলায় জ্বালা অনুভব করে। এরপর দেরি না করে সকাল ৭ টা ৩৫ মিনিট নাগাদ পুলিশে ফোন করা হয়। পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, দমকল ও অ্যাম্বুল্যান্স। নিয়ে আসা হয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলকে। অসুস্থ পড়ুয়াদের পার্শ্ববর্তী তিনটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খালি করা হয় গোটা স্কুল। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুলের পঠন-পাঠন। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজাল এবং বিজেপি নেতা বিজেন্দ্র গুপ্তা হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। অভিভাবকদের অভিযোগ গ্যাস লিক হচ্ছে দেখেও ক্লাস চালু রাখা হয়েছিল। তাতেই আরও ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, ক্লোরোমিথাইল ফিরিডিন নামে যে গ্যাস লিক করেছে, সেটি কীটনাশক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি এক ছাত্রীর কথায়, ‘আমরা সাতটা নাগাদ প্রার্থনা সেরে ক্লাসে যাই। কিন্তু সাড়ে সাতটা নাগাদ অনেকেই অসুস্থ বোধ করতে থাকে। এরপর আমাদের সবাইকে মাঠে জড়ো করা হয়। আমি নিজে কয়েকজনকে বের করে এনেছি। পরে আর পারিনি। অসুস্থ হয়ে পড়ি।’ স্কুলের অধ্যক্ষ প্রিন্সিপাল মনীশ ভৈস বলেন, ‘প্রথমে দু’জন পড়ুয়া আমাদের কাছে অভিযোগ জানায়। পরে আরও অনেকে অভিযোগ করে। এরপরে আমরা ওদের হাসপাতালে ভর্তি করাই।’ ইতিমধ্যে কেন্দ্রও গোটা ঘটনা সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা সরকারি হাসপাতালগুলিকে আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য তৈরি থাকতেও বলেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.