সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে তোলপাড় গোটা দেশ। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে টুঁ শব্দ করেননি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। নানা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী টুইট করছেন বটে, কিন্তু নীরব প্রসঙ্গে তিনি আশ্চর্যজনকভাবে নীরব। নির্মলা সীতারমণ বা রবিশঙ্কর প্রসাদরা গোড়ার দিকে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু তারপর থেকেই শাসকদলের প্রায় প্রত্যেকেই চুপচাপ। তবে বাবা রামদেবের মতে, নীরবের মতো লোককে তার সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দেবে মোদি সরকরাই। অর্থাৎ, তাঁকে জেলে ঢোকাবে সরকারই, আশা রামদেবের। এদিকে তদন্তকারী সংস্থার মতে, নীরব গা-ঢাকা দিয়েছেন দুবাইতেই।
[ ব্যাংকে দুর্নীতি রোধে নয়া দাওয়াই, তিন বছর অন্তর অফিসারদের বদলি ]
প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা লুট। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা। ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন। সমাজের উচ্চবিত্ত ও নেতাদের মধ্যে আস্থা অর্জন করে টাকা নিয়ে চম্পট। ব্যাংকের নজরে দুর্নীতি আসার আগেই বিদেশে পগারপার নীরব মোদি। প্রথমে জানা গিয়েছিল, নিউ ইয়র্কের এক বিলাসবহুল হোটেলে বহাল তবিয়তে আছেন নীরব মোদি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস। তবে সদ্য পাওয়া তথ্য অনুসারে, নিউ ইয়র্ক থেকে সম্ভবত দুবাইতেই গা-ঢাকা দিয়েছেন নীরব মোদি। এ ব্যাপারে ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছে সিবিআই।
[ ৮০০ কোটির ঋণখেলাপ, সিবিআইয়ের জালে রোটোম্যাক কর্তা ]
এদিকে পুরো ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাবা রামদেব। তিনি সাফ জানিয়েছেন, যারা দেশের মুখে কালি ফেলে বিদেশে পালিয়েছে, তারা রেহাই পাবে না। মোদি সরকার তাঁদের সঠিক ঠিকানাতেই পৌঁছে দেবে। পাপের ফল ওদের ভোগ করতেই হবে।
Lalit Modi ho ya Nirav Modi jo bhi aisa sharmnaak kaam karta hai, woh desh ko sharmsaar karne waali baat hai. Log ghotaale karke desh ko badnaam karte hain. Modi sarkaar iss Nirav Modi ko uske asli thikaane tak pahonchayegi.Uske paapon ka phal usko milega: Ramdev on #NiravModi pic.twitter.com/yOGedbyctb
— ANI (@ANI) February 19, 2018
এদিকে বৈভব খুরানিয়া নামে এক আবেদনকারী জানাচ্ছেন, গীতাঞ্জলিতে তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন। সেই সুবাদে মেহুল চোকসির সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বুঝে যান যে, কোম্পানির অবস্থা ভাল নেই। এরপর তাঁদের প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার স্টক লুটে নেয় নীরবের কোম্বানি। আদালত পর্যন্ত জল গড়ায়। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। বরং তাঁর দাবি, ২০১১-১২ থেকে এই নাটক শুরু হয়েছে। ইডি-সিবিআই-সেবি সবাইকেই জানানো হয়েছিল। যদি তখন সংস্থাগুলি সতর্ক হত, তাহলে এই পরিণাম দেখতে হত না।
We had invested in #Gitanjali & met #MehulChoksi in the process. We opened a store, within 1-2 months we realised that the company is in bad shape. Our store was shut down within 3-4 months. The company duped us & stole our stock worth Rs 80 Lakh: Vaibhav Khuraniya, Petitioner pic.twitter.com/8I5DXQ47re
— ANI UP (@ANINewsUP) February 19, 2018
We complained to police but nothing happened. We went to court following which FIR was registered. Court proceedings are underway. Amidst all this he filed notice in High Court to quash the FIR. So he was provided an interim protection & fled: V Khuraniya, Petitioner #PNBFraud pic.twitter.com/NWMjsSxht9
— ANI UP (@ANINewsUP) February 19, 2018
The drama had begun in 2013 & fraud started back in 2011-12. We had informed CBI, SEBI, EOW, ED, had they been alert on time he wouldn’t have escaped. However we had this intuition that he is bribing his way out & matter isn’t reaching to higher authority: Petitioner #PNBFraud pic.twitter.com/X5rso6E6nc
— ANI UP (@ANINewsUP) February 19, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.