সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বলবেন, আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।’ নিরাপত্তার গাফিলতির পর ভাতিণ্ডা বিমানবন্দরে ফিরে সেখানকার কর্মীদের নাকি এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিমানবন্দরের কর্মীরা সংবাদসংস্থা এএনআইকে এমনটাই জানিয়েছেন। নিরাপত্তার গলদ নিয়ে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী।
Officials at Bhatinda Airport tell ANI that PM Modi on his return to Bhatinda airport told officials there,“Apne CM ko thanks kehna, ki mein Bhatinda airport tak zinda laut paaya.” pic.twitter.com/GLBAhBhgL6
— ANI (@ANI) January 5, 2022
বস্তুত সাড়ে সাত বছরের শাসনকালে এর আগে এভাবে কখনও নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় পড়তে হয়নি মোদিকে। তাছাড়া নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বরাবরই একটু বেশি সচেতন মোদি। তাঁর নিরাপত্তার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে এসেছে বিশেষ বিমান। সদ্য জাপান থেকে আনা হয়েছে বিশেষ গাড়িও। পান থেকে চুন খসলেই সচেতন হয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা। এ হেন মোদিকে মাঝ রাস্তায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হল বিক্ষোভের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ। সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করে ভাতিণ্ডা বিমানবন্দরে ফিরেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে শ্লেষমিশ্রিত ওই কথাগুলি বিমানবন্দরের এক কর্মীকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক কী অর্থে প্রধানমন্ত্রী কথাগুলি বলেছেন, সেটা স্পষ্ট না হলেও, পুরো ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদি যে বেশ অসন্তুষ্ট সেটা আন্দাজ করাই যায়। এই কথাগুলি আসলে ক্ষোভ এবং অভিমান মেশানো বলেই মনে করছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল।
বস্তুত, মোদির নিরাপত্তার এই গলদের পিছনে বড়সড় ষড়যন্ত্র দেখছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছে, অনেক আগে থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে বলা হলেও পাঞ্জাব সরকার মোদির নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করেনি। সরকারি সুত্রে বলা হচ্ছে, এটা সাম্প্রতিক সময়ে কোনও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় গলদ। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্র আরও বলছে, পাঞ্জাব সরকার যদি বিক্ষোভকারীদের সহায়তা না করত, তাহলে তাঁদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি জানা সম্ভব ছিল না। কারণ, শুধু পাঞ্জাব পুলিশই সেটা জানত।
বিজেপির (BJP) তরফে আবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী চরনজিৎ সিং চান্নিকে (Charanjit Singh Channi) দোষারোপ করা হচ্ছে। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা টুইট করে বলছেন,”প্রধানমন্ত্রী পাঞ্জাবে গিয়েছিলেন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনে। এর ফলে পাঞ্জাবের হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেল। তবে, এইসব সংকীর্ণ বাধায় আমরা পাঞ্জাবের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাতে দেব না।” বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, “এত বড় নিরাপত্তার গলদের পরও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ফোন ধরছেন না। আসলে বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় হারের ভয়ে এসব নিম্ন মানসিকতার কাজ করছে পাঞ্জাব সরকার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.