Advertisement
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

‘দেশে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই’, অসমের কথা ভুলেই গেলেন প্রধানমন্ত্রী!

পালটা আক্রমণে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি।

PMr declared
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 22, 2019 9:26 pm
  • Updated:December 22, 2019 9:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর ডিটেনশন ক্যাম্প মন্তব্যের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। রবিবার দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে রামলীলা ময়দানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, “গোটা দেশে কোথাও কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই”। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বিরোধী নেতারা।তাঁদের কথায়, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। গুগল সার্চ করলেই বোঝা যাবে দেশে কতগুলি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে ট্রোল করছেন নেটিজেনরাও।

এদিন সন্ধ্যেয় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মাঠে নামে কংগ্রেস। একের পর এক টুইট করে প্রধানমন্ত্রীর দাবির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। কংগ্রেসের কথায়, “গুগল সার্চ করলেই আসল সত্যটা সামনে চলে আসবে।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “আপনার কী মনে হয়, ভারতীয়রা একটা সাধারণ গুগল সার্চ করতে পারে না। সারা দেশে ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে। আর এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় রয়েছে, এই ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।” পরের আরেকটি টুইটের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্টের ছবিও পোস্ট করে কংগ্রেস। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের একটি মন্তব্যও উদ্ধৃত করে দেন তাঁরা। যেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, “অসম জুড়ে ২৮টি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে।” একই দাবি করতে থাকেন নেটিজেনরাও। তাঁরাও একের পর এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, ভিডিও পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন।সম্প্রতি বামফ্রন্টের তরফে দাবি করা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউনে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য জমি দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। যদিও নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে সেই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

 

[আরও পড়ুন:‘বিক্ষোভকারীদের ধরছেন না কেন?’ পুলিশকে বলতেই গ্রেপ্তার কংগ্রেস কর্মী]

রবিবারের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি্ দাবি করেছেন, ২০১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর সরকার এনআরসি নিয়ে কে্াথাও কোনও আলোচনাই করেনি। অসমে যে NRC হয়েছে, সেটাও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। তাঁর এই মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের দাবি, সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয়  খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহবারবার জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের আগে দেশজুড়ে এনআরসি হবে। তাহলে কেন এখন প্রধানমন্ত্রী অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মন্তব্যকে পরস্পরবিরোধী বলেও দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করতে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর এক জনসভায় অমিত শাহের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। যেখানে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, আগে প্রতিবেশী দেশের শরনার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হবে। তারপরই দেশজুড়ে NRC করা হবে।

    

 

 

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement