সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকা দেখলে একঝলকে মনে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। গোটা দেশেই তিনি পরিচিত প্রধানমন্ত্রীর ‘ডুপ্লিকেট’ হিসে্বে। এবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Assembly Election 2020) লড়বেন ৫৩ বছরের অভিনন্দন পাঠক। ‘বঞ্চিত সমাজ পার্টি’র প্রার্থী হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলার হাতুয়া কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। অভিনন্দন জানাচ্ছেন, হাথুয়া একটি পিছিয়ে থাকা এলাকা। সেখানে দীর্ঘ সময় ধরে কোনও রকম উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। নির্বাচনে জিতলে তিনি হাথুয়ায় উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।
আদতে তিনি উত্তরপ্রদেশের সাহরানপুরের বাসিন্দা। বর্তমানে থাকেন বিহারের গোপালগঞ্জের অন্তর্গত সাভানাহা গ্রামে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর চেহারার সাদৃশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘এটা একেবারেই কাকতালীয়।’’ তবে তিনি একথা বললেও তাঁর পোশাক, কথা বলার ভঙ্গিতেও প্রধানমন্ত্রীর আদল স্পষ্ট। তাঁকে দেখা যায় মোদি জ্যাকেট হিসেবে পরিচিত বিশেষ ধরনের জ্যাকেটই পরতে। এমনকী তিনি বক্তৃতা দেওয়ার সময়েও ‘মিত্রো’ বলে তাঁর বক্তব্য পেশ করা শুরু করেন অবিকল প্রধানমন্ত্রীর মতো করেই।
প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু নিজের কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। দেখা যাক আগামী দিনে কী হয়। আমি রাজনীতিতে এসেছি দরিদ্রের সেবা করার জন্য।’’ প্রসঙ্গত, একসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর হয়েই প্রচার করতেন। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তিনি মোদির সমর্থনকারী কিংবা সমালোচক কোনওটাই নন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বিহারের উন্নয়নের জন্য লড়াই করতে চান তিনি।
এবারের ভোটে তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রামসেবক সিং। সেসম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিনন্দন কটাক্ষ করে বলেন, রামসেবক এর আগেও হাথুয়া কেন্দ্রে বহুবার জিতেছেন। কিন্তু এলাকার কোনও উন্নয়ন তিনি করে উঠতে পারেননি।
প্রথমবার তিনি সকলের নজরে আসেন ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির হয়ে প্রচার করতে এসে। এযাবৎ ছ’বার নির্বাচনে লড়েছেন অভিনন্দন। কর্পোরেশন থেকে লোকসভা, কিন্তু জয় অধরা থেকে গিয়েছে তাঁর। এবারের ভোটে তিনি জিততে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.