প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর প্রত্যেক ভারতবাসীর রক্ত ফুটছে। এই সংকটের সময়ে দেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রবিবার ‘মন কি বাত’-এর ১২১তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমনটাই জানালেন।
হামলার কড়া নিন্দা করে তিনি বলেন, “কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল। গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল। স্কুল-কলেজের সংখ্যা এবং পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু শত্রুদের এটি পছন্দ হয়নি। সন্ত্রাসবাদীরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায়।”
এরপরই মোদির গলায় শোনা যায় বদলার অঙ্গীকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি নিহতদের পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করছি, তাঁরা ন্যায়বিচার পাবে। এই হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের কঠোরতম শাস্তি হবে।”
পহেলগাঁও হামলার পর একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, “বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছেন, চিঠি লিখেছেন, বার্তা পাঠিয়েছেন। সকলেই এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব আমাদের পাশে রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের আদর্শকে শক্তিশালী করতে হবে। সমগ্র বিশ্ব দেখছে কীভাবে দেশ একটাই সুরে কথা বলছে।”
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। তবে প্রধানমন্ত্রীর ইশারাতে স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী এবং তাঁদের মদতদাতাদের খুঁজতে আগামী দিনে আরও বড়সড় কোনও পদক্ষেপ করতে চলেছে নয়াদিল্লি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনীতে মোদির সরকারি সভা ছিল। সেখান থেকে জোরালো এবং স্পষ্টভাষায় তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “বিশ্বের যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাক জঙ্গিরা, তাঁদের খুঁজে বের করে মারবে ভারত। যারা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে, বা আড়াল থেকে মদত দিচ্ছে তারাও ছাড় পাবে না। ওদের যেটুকু জমি বাকি আছে, সেটুকুও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.