Advertisement
Advertisement
PM Narendra Modi

লক্ষ্য ৩৭০ আসন, নেতাকর্মীদের ‘১০০ দিনের কাজ’ দিলেন মোদি

দলের রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে দলের পদাধিকারীদের মোদি বললেন, আর ১০০ দিন সময় হাতে। এই ১০০ দিন প্রাণপাত করে পরিশ্রম করতে হবে। যে করেই হোক ৩৭০ আসনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌছতেই হবে।

PM Narendra Modi tasks BJP workers before Lok Sabha Elections 2024 | Sangbad Pratidin

জনতার অভ্যর্থনা গ্রহণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল চিত্র।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 17, 2024 5:47 pm
  • Updated:February 17, 2024 5:54 pm  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ‘চক দে ইন্ডিয়া’ ছবিতে শাহরুখ খানের সেই ‘৭০ মিনিট’ মনোলগটি মনে আছে নিশ্চয়। অনেকটা কবীর খানের সেই ধাঁচেই দলের নেতাকর্মীদের ‘পেপটক’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী বিজেপির নেতাকর্মীদের ১০০ দিনের টাস্ক দিয়ে দিলেন। দলের রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে দলের পদাধিকারীদের মোদি বললেন, আর ১০০ দিন সময় হাতে। এই ১০০ দিন প্রাণপাত করে পরিশ্রম করতে হবে। যে করেই হোক ৩৭০ আসনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌছতেই হবে।

মাস ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এবারে দল হিসাবে ৩৭০ আসনে পৌঁছানোর টার্গেট নিয়েছে বিজেপি (BJP)। আর জোট হিসাবে এনডিএর খাতায় তিনি চাইছেন ৪০০ আসন। দিন কয়েক আগে পর্যন্ত অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণ ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে বলে মনে করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে কৃষক বিদ্রোহ নতুন করে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের। এই দুই জ্বলন্ত ইস্যুকে ঝেড়ে ফেলতে ১০০ দিনের টোটকা দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে সভা পিছিয়ে দিল তৃণমূল, স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে দুই মন্ত্রী]

বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে মূলত তিনটি টোটকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রথম টার্গেট যুব সমাজ। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলে দেন, আগামী ১০০ দিন দলের কর্মীদের প্রাণপাত করতে হবে। গ্রামে গ্রামে যেতে হবে। প্রথম ভোটারদের কাছে যেতে হবে। তাঁদের বোঝাতে হবে, গত ১০ বছরে বিজেপি কী কী করেছে। আর তার আগের ১০ বছরে কী সঙ্গীন অবস্থা হয়েছিল, সেটা তুলে ধরতে হবে। মোদির দ্বিতীয় টার্গেট, মহিলা ভোটাররা। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর টোটকা, বিজেপি কীভাবে মেয়েদের জীবনযাত্রা সহজ করার চেষ্টা করছে তা তুলে ধরতে হবে। তাছাড়া মহিলাদের জন্য কীভাবে রোজগারের ব্যবস্থা করেছে বিজেপি, সেটাও তুলে ধরতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে সিংহভাগ মহিলাদের ভোট বিজেপি পায়। প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় টোটকা হল, দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসনের প্রচার। মোদি বলছেন, গত দশ বছর পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন চালিয়েছে মোদি সরকার। একজন আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কোনও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। সেই তথ্য তুলে ধরতে হবে জনমানসে।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের চাইতেও বেশি! লোকসভা ভোটে বাংলার জন্য কত বাহিনী চাইল কমিশন?]

দিল্লিতে বিজেপির রাস্ত্রীয় অধিবেশনে সব রাজ্যের সমস্ত পদাধিকারী, সাংসদ, বিধায়ক, শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব, জেলা সভাপতিদের হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশ থেকে প্রায় সাড়ে এগারো হাজার প্রতিনিধি অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সামনেই ১০০ দিনের পেপটক দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

  • বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: 'চক দে ইন্ডিয়া' ছবিতে শাহরুখ খানের সেই '৭০ মিনিট' মনোলগটি মনে আছে নিশ্চয়। অনেকটা কবীর খানের সেই ধাঁচেই দলের নেতাকর্মীদের 'পেপটক' দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বিজেপির নেতাকর্মীদের ১০০ দিনের টাস্ক দিয়ে দিলেন। দলের রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে দলের পদাধিকারীদের মোদি বললেন, আর ১০০ দিন সময় হাতে। এই ১০০ দিন প্রাণপাত করে পরিশ্রম করতে হবে। যে করেই হোক ৩৭০ আসনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌছতেই হবে। মাস ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে কমিশন। এবারে দল হিসাবে ৩৭০ আসনে পৌঁছানোর টার্গেট নিয়েছে বিজেপি। আর জোট হিসাবে এনডিএর খাতায় তিনি চাইছেন ৪০০ আসন। দিন কয়েক আগে পর্যন্ত অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে বলে মনে করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে কৃষক বিদ্রোহ নতুন করে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের। এই দুই জ্বলন্ত ইস্যুকে ঝেড়ে ফেলতে ১০০ দিনের টোটকা দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে মূলত তিনটি টোটকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রথম টার্গেট যুব সমাজ। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলে দেন, আগামী ১০০ দিন দলের কর্মীদের প্রাণপাত করতে হবে। গ্রামে গ্রামে যেতে হবে। প্রথম ভোটারদের কাছে যেতে হবে। তাঁদের বোঝাতে হবে, গত ১০ বছরে বিজেপি কী কী করেছে। আর তার আগের ১০ বছরে কী সঙ্গীন অবস্থা হয়েছিল, সেটা তুলে ধরতে হবে। মোদির দ্বিতীয় টার্গেট, মহিলা ভোটাররা। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর টোটকা, বিজেপি কীভাবে মেয়েদের জীবনযাত্রা সহজ করার চেষ্টা করছে তা তুলে ধরতে হবে। তাছাড়া মহিলাদের জন্য কীভাবে রোজগারের ব্যবস্থা করেছে বিজেপি, সেটাও তুলে ধরতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে সিংহভাগ মহিলাদের ভোট বিজেপি পায়। প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় টোটকা হল, দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসনের প্রচার। মোদি বলছেন, গত দশ বছর পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন চালিয়েছে মোদি সরকার। একজন আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কোনও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। সেই তথ্য তুলে ধরতে হবে জনমানসে। দিল্লিতে বিজেপির রাস্ত্রীয় অধিবেশনে সব রাজ্যের সমস্ত পদাধিকারী, সাংসদ, বিধায়ক, শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব, জেলা সভাপতিদের হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশ থেকে প্রায় সাড়ে এগারো হাজার প্রতিনিধি অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সামনেই ১০০ দিনের পেপটক দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
  • অনেকটা কবীর খানের সেই ধাঁচেই দলের নেতাকর্মীদের 'পেপটক' দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
  • প্রধানমন্ত্রী বিজেপির নেতাকর্মীদের ১০০ দিনের টাস্ক দিয়ে দিলেন।
  • Advertisement