সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামমন্দির, সিএএ, ভোটের মুখে গ্যাসের দাম কমানোর মতো দুরন্ত চালের পরেও দেশজুড়ে ভোটপ্রচারে ঘাম ঝরাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। শনিবার রাজস্থানের আজমের শরিফের সভায় কংগ্রেসকে (Congress) একহাত নিলেন তিনি। রাহুল গান্ধীর দলের ইস্তেহার মিথ্যায় ভরা, দাবি করলেন লোকসভা ভোট ২০২৪-এর বিজেপির অবিকল্প মুখ মোদি। আরও বলেন, পাতায় পাতায় ভারত ভাঙার মন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহারে।
আজমের শরিফ দরগাহ ও মাজারে রয়েছে সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতির সমাধি। যা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য তো বটেই, তৎসহ সকল ধর্মের মানুষের প্রার্থনাস্থল। যেহেতু সুফি সাধকরা ছিলেন ধর্মের ঊর্দ্ধে মানবতাবাদী। সেই আজমের শরিফে সভায় দাঁড়িয়ে মোদি বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় মুসলিম লিগ যে চিন্তাভাবনা করত, কংগ্রেসের ইস্তেহারে সেই ধরনের চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুসলিম লিগ মার্কা ইস্তেহারের সবকিছুই ইতিমধ্যে দখল করেছে বামপন্থীরা। আজ কংগ্রেসের কাছে আদর্শ বা নীতি কোনও কিছুই নেই। মনে হচ্ছে, কংগ্রেস যেন সবকিছুই চুক্তিতে দিয়ে দিয়েছে, পুরো দলটিকে আউটসোর্স করতে হচ্ছে!’ এর পর চেনা পথে দুর্নীতির প্রশ্নে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, কংগ্রেস যেখানে, ‘সেখানে উন্নয়ন থাকতে পারে না। গরিব, প্রান্তিক মানুষ এবং যুবাদের কথা ভাবে না কংগ্রেস। জনগণের টাকা লুট করাকে এরা এরা পৈতৃক অধিকার মনে করত। গত ১০ বছরে মোদি এই রোগের স্থায়ী নিরাময় করেছে।’
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের ইস্তেহারে মূলত পাঁচটি ন্যায়ে জোর দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের জন্য ন্যায়, তরুণদের জন্য ন্যায়, কৃষকদের জন্য ন্যায়, শ্রমিকদের জন্য ন্যায় এবং সামাজিক ন্যায়। এই পাঁচ ন্যায়ের অধীনে মোট ২৫টি গ্যারান্টির কথা বলছে হাত শিবির। যদিও সংশোধিত নাগরিকত্ব ইস্যু, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বা ৩৭০ ধারা, ওল্ড পেনশন স্কিমের মতো জ্বলন্ত ইস্যুগুলিই কংগ্রেসের ইস্তেহারে নেই। কেন? দলের তরফে জানানো হয়েছে, বিতর্কিত কোনও ইস্যু ইস্তেহারে রাখা হয়নি। তাতে মূল প্রতিশ্রুতিগুলি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও বিচারাধিন বিষয়গুলিকে ইস্তেহারে রাখা হয়নি ভেবেচিন্তেই। প্রশ্ন উঠছে, মানুষ কি সেকথা শুনবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.