সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ কর্ণাটকে কোন রাজনৈতিক দল সরকার গড়তে পারবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় সরকার গড়ার দাবিদার হিসাবে ১০৪ আসন নিয়ে একদিকে রয়েছে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল বিজেপি, অন্যদিকে রয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। এরই মধ্যে, কর্ণাটকের মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি সোমবার বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আক্রমণ শানালেন শাসক তৃণমূল কংগ্রেসকে। বুঝিয়ে দিলেন, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার তখত দখলে কতটা মরিয়া গেরুয়া শিবির।
[সারাদিন রয়েছেন সংবাদ শিরোনামে, জানেন কে এই এইচডি কুমারাস্বামী?]
People weren’t allowed to file nominations. It isn’t only BJP people who suffered. People from all the leading parties except the one that rules Bengal suffered. This is serious. A land as great as West Bengal has to see such sights, it is unfortunate: PM Modi #PanchayatElections pic.twitter.com/hxtWIG5FtA
— ANI (@ANI) May 15, 2018
[ফলাফল যাই হোক, লিঙ্গায়ত ভোট পকেটে পুরে বাজিমাত বিজেপির]
ত্রিপুরা জয়ের পরই দিল্লির হেডকোয়ার্টার থেকে প্রথমে কর্ণাটক, ওড়িশা ও বাংলাকে টার্গেট করেছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কর্ণাটকে এখনও জয় না পেলেও একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। ঠিক একই পথে হেঁটে দলীয় কর্মীদের জন্য বাংলা জয়ের টার্গেট বেধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে হানাহানির সমালোচনা করে শাসক তৃণমূলকে দিল্লি থেকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী। পঞ্চায়েতে হওয়া হতাহতের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, মনোনয়ন পর্ব থেকে হিংসা চলছে বাংলায়। বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয়নি। শাসক বাদে সমস্ত বিরোধীদের উপরে আক্রমণ চলছে। সমগ্র দেশ তা দেখছে। মনোনয়ন পর্ব থেকেই সরগরম ছিল পঞ্চায়েত ভোট। সোমবার একদফার ভোটে সকাল থেকেই হানাহানির ঘটনায় উত্তপ্ত ছিল রাজ্য রাজনীতি। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়ত নির্বাচনে প্রাণ গিয়েছে ২১ জনের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধীদের অভিযোগ করেছিল, বুথ দফল করে বেমালুম ছাপ্পা চালাচ্ছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। আক্রমণ করা হয়েছে বিরোধীদের। অভিযোগের তীর ছিল, পুলিশ-প্রশাসনের দিকেও। এই সমস্ত কিছুকেই টার্গেট করে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে।
[ম্যাজিক ফিগার থেকে দূরে বিজেপি, সরকার গড়ার পথে কংগ্রেস-জেডিএস জোট]
They say BJP is a party of Hindi speaking states. Are Goa, Gujarat, Maharashtra states in North East Hindi speaking states? No, BJP represents India. There was no barrier between people of Karnataka & me. I’ll always cherish the affection I received from them: PM Narendra Modi pic.twitter.com/ycLr8Wsvhy
— ANI (@ANI) May 15, 2018
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যে কথাটা বলেছেন, তাতে মনে হয়েছে তিনি যেন বিজেপির মুখপাত্র হিসাবে বলছেন। ওঁনার বাংলা সম্পর্কে জেনে কথা বলা উচিত ছিল। আসল কথা কর্নাটকের নির্বাচনে ওঁনি এতটাই হতাশ যে, সেই হতাশা কাটাবার জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতের গণতন্ত্র নিয়ে ভাবছেন। আসলটা জেনে রাখা উচিত যে, তাঁর দলই এ রাজে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। ওঁনি আগে নিজের দলের লোককে নিয়ন্ত্রণ করুন। আর এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীই আহত হয়েছেন। সুতরাং ওঁনি আগে নিজের দলকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিন, নিয়ন্ত্রণ করুন, সেটাই দরকার। আশাকরি তাতে তাঁর কর্নাটকে হারার যন্ত্রণা ও হতাশা কাটবে।”
কর্ণাটকে গেরুয়া শিবিরের অভাবনীয় ফলাফলের জন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন সে রাজ্যের মানুষকে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বিজেপিকে এতদিন হিন্দিভাষীদের দল বলে সমালোচনা করত। কিন্তু গোয়া, গুজরাট, মহারাষ্ট্র তো হিন্দিভাষী রাজ্য নয়। কর্ণাটকবাসীর থেকে তিনি যে কোনও অংশে আলাদা নন, তাও নিজের বক্তৃতায় বুঝিয়ে দিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কর্ণাটকে সরকার গড়তে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এরপরে পার্লামেন্টরি কমিটির বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.