Advertisement
Advertisement
PM Narendra Modi

নারী নির্যাতনে কঠোরতম শাস্তি হবেই! নতুন আইন প্রণয়ণে রাজ্যকে সহায়তার বার্তা মোদির

মহারাষ্ট্রের জলগাঁও-তে 'লাখপতি দিদি'দের সম্মেলনে তাঁর মুখে শোনা গেল অপরাধীর কঠোর শাস্তির আশ্বাসবাণী। এ বিষয়ে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিধানের কথা উল্লেখ করলেন তিনি।

PM Narendra Modi says that new laws have provision for death penalty and life imprisonment for sexual crimes
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 25, 2024 3:11 pm
  • Updated:August 25, 2024 3:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্তব্যরত অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। শহর, রাজ্য তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসকরা যথাযথ নিরাপত্তার দাবিতে রীতিমতো কর্মবিরতি পালন করেছেন। এক চিকিৎসকের উপর এমন নারকীয় ঘটনা কাঁপন ধরিয়েছে সর্বস্তরে। নারী নির্যাতন বিশেষত যৌন হেনস্তার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে আরও কড়া আইন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরেছেন দলমত নির্বিশেষে রাজনীতিকরা। এমনকী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন।

এবার সরাসরি আর জি করের নাম না নিয়েও (RG Kar Hospital)নারীবিরোধী অপরাধে কড়া শাস্তির জন্য প্রয়োজনীয় আইনের কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি। মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) জলগাঁও-তে ‘লাখপতি দিদি’দের সম্মেলনে তাঁর মুখে শোনা গেল সেই বার্তা।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Narendra Modi) বক্তব্য, নাবালক-নাবালিকাদের উপর যৌন হেনস্তার মতো ঘটনার শাস্তি হিসেবে এখনকার আইনে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব ছাড়াও তাদের উপর নানাধরনের হিংসার ঘটনা ঘটে। কোন অপরাধে কী শাস্তি, তা নির্দিষ্ট করা নেই। কিন্তু ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় (Bharatiya Nyaya Sanhita) তা স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে। আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি, মহিলাদের উপর সবরকম অত্যাচার বন্ধ করে রাজ্য সরকারগুলির পদক্ষেপে পাশে আছে কেন্দ্র। আমাদের সরকার অপরাধীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।”

‘লাখপতি দিদি’ সম্মেলনে নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ”সমাজ থেকে এ ধরনের মানসিকতা মুছে গেলে তবেই আমরা এই অত্যাচার বন্ধ করতে সফল হব।” ভারতীয় ন্যায় সংহিতার কথা উল্লেখ করে মোদির আরও বক্তব্য,  ”আগে এসব ঘটনার ক্ষেত্রে ঠিক সময়ে এফআইআর-ও হতো না। বিচারপ্রক্রিয়ায় গাফিলত হতো, দেরি হতো। কিন্তু আমরা এসব কাজকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এগিয়েছে। এখন মহিলাদের উপর যে কোনও রকম অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে থানায় না এসেও ই-এফআইআর (E-FIR) দায়েরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর উলটো সুর সুকান্তর! ‘অরাজনৈতিক’ নবান্ন অভিযান নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ