সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস বা বামেরা মানুষের সেবা করতে পারে না। ওরা শুধু জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দিতে জানে। ত্রিপুরার দাঁড়িয়ে সেরাজ্যের বাম-কংগ্রেস জোটকে তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর দাবি, শুধু নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কেরলে কুস্তি আর ত্রিপুরায় দোস্তির নীতি নিয়ে চলেছে বাম এবং কংগ্রেস।
ত্রিপুরায় বাম আমলে পুরোপুরি ক্যাডার রাজ চলত বলে অভিযোগ করেছেন মোদি। সিপিএমকে চাঁদার কোম্পানি বলেও তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন আমবাসার এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা সময় রাজ্যে চাঁদার রাজত্ব ছিল। যে কোন কাজে কমিউনিস্টদের চাঁদা দিতে হত। থানায় যেতে হলেও চাঁদা দিতে হত। কারণ থানাও সিপিএম ক্যাডারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বর্তমান সরকার রাজ্যে ভয়, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির পরিবেশ শেষ করেছে। মুক্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। মহিলারা সিপিএম (CPIM) শাসনে অত্যাচারিতা হতেন। আজ মহিলা সশক্তিকরণ চলছে।”
মোদির বক্তব্য, ডবল ইঞ্জিন সরকারের দৌলতে ত্রিপুরায় দ্বিগুণ গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এদিনের সভায় বলেন, “আবাস, আরোগ্য ও আয়-এই ত্রিশক্তি ত্রিপুরার (Tripura) মানুষের জীবন সহজতর করেছে। গত পাঁচ বছরে রাজ্যের প্রত্যেক মানুষের জীবনে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার। গত পাঁচ বছরে রাজ্যের বিজেপি (BJP) সরকার তিন লক্ষ পরিবারকে পাকা ঘর করে দিয়েছে। ডাবল ইঞ্জিনের এটাই গতিবেগ। এটাই বিজেপি সরকারের কাজের পদ্ধতি ও পরিনাম। যারা মিথ্যা বলে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করার স্বপ্ন দেখছেন তাদের যোগ্য জবাব দেবে জনতা। এরাই সরকারের সুরক্ষাকবচ। ত্রিপুরার প্রায় ২ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান যোজনার সাহায্য পেয়েছেন। যদি বিজেপির সরকার না থাকত, তাহলে এই সুবিধা কি পেতেন মানুষ? কংগ্রেস (Congress) ও সিপিএম শুধু গরীবদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে জানে।”
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আপনাদের ভোটেই ত্রিপুরা বাম অপশাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল। আপনার ভোটেই ত্রিপুরায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার উন্নয়নের গতিকে আরও শক্তিশালী করবে। আসলে ত্রিপুরা দখলে বিজেপি কার্যত মরিয়া। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে গোটা তিনেক সভা করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের সেরাজ্যে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি যে বাম-কংগ্রেসকেই সেরাজ্যে পয়লা নম্বর শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করেছেন, সেটা তাঁর ভাষণে বামেদের লাগাতার আক্রমণ থেকেই স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.