সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার উদ্দেশে পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে রওনা দেন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে তাঁর এই ঐতিহাসিক সফরে চিন ও রাশিয়া-সহ গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ভারতীয় সময় মতে আজ রাত দেড়টা নাগাদ ওয়াশিংটনের অ্যান্ড্রস বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের অনেকেই। মোদির তিনদিনের এই সফরসূচী শুরু হবে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তর থেকে। আগামী কাল ২১ জুন, সেখানে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে মহাত্মা গান্ধীর আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।
২২ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। হোয়াইট হাউসে তাঁকে স্বাগত জানাতে ২১ বার গান স্যালুট দেওয়া হবে। এই সফরে দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে ভারত ও মোদি স্তুতি শোনা যাচ্ছে শীর্ষ মার্কিন কর্তাদের মুখে। যার মধ্যে অন্যতম হোয়াইট হাউসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক সমন্বয়কারী পদে থাকা কার্ট ক্যাম্পবেল। মোদি প্রশস্তি শোনা গিয়েছে মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়কারী জন কারবির মুখেও।
জানা গিয়েছে, ২৩ জুন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের যৌথ আতিথেয়তায় মধ্যাহ্নভোজে শামিল হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওইদিনই মাস্টারকার্ড ও কোকাকোলার মতো শীর্ষ ২০টি মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার সিইওদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা ও ভারতে বিদেশি লগ্নি টানতেই নমোর এই উদ্যোগ।
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই ঐতিহাসিক সফরের দিকে চিন ও রাশিয়া-সহ গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে কী বার্তা দেবেন মোদি তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেও ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবেন তিনি। কোনওভাবেই ‘বন্ধু’ রাশিয়াকে একঘরে করতে চাইবেন না তিনি। তবে ইন্দো-প্যাসিফিকে মুক্ত বাণিজ্য, আগ্রাসন এবং গণতন্ত্র হরণ নিয়ে চিনকে পরোক্ষে কড়া বার্তা দেবেন মোদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.