Advertisement
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী

অকাল দিপাবলির প্রস্তুতি! সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা

টুইটারে একাধিক ট্রেন্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে।

PM Narendra Modi is being trolled for Candle lightening approach
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 3, 2020 4:05 pm
  • Updated:April 3, 2020 5:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ বলছেন, ‘অকাল দিপাবলি’। কেউ বলছেন, ‘সংখ্যাতত্ত্বের খেলা’। কেউ আবার বলছেন, ‘এ সবই চক্রান্ত, মোমবাতি কিনতে বের হই, আর পুলিশ পিঠে লাঠি ভাঙুক। আর এই ছলে লকডাউন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হোক।’ মোদ্দা কথা, লকডাউনের দশম দিনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ঘিরে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। সে ফেসবুক হোক কিংবা টুইটার। অথবা হোয়্যাটস অ্যাপ কিংবা ইনস্টাগ্রাম। সর্বত্রই চর্চার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রদীপ জ্বালানোর ঘোষণা। কেউ নিন্দা করছেন তো কেউ আবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে সবার মনেই একটাই প্রশ্ন, কেন এমন ঘোষণা! এর পিছনে আসল রহস্যটা কী?

[আরও পড়ুন : পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় কড়া যোগী সরকার, হেনস্তা করলে শাস্তি]

শুক্রবার দেশজোড়া লকডাউনের দশম দিন। বৃহস্পতিবার আচমকাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন, তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে ভিডিও বার্তা দেবেন। তিনি কী বার্তা দেবেন, তা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়ে যায়। অনেকেই এদিন সকালে টিভির সামনে বসে পড়েছিলেন। আশঙ্কা ছিল, করোনা মহামারি রুখতে হয়তো লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা করবেন। কিংবা সেনা নামিয়ে কড়া হাতে আমজনতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু কোথায় কি! এ যে প্রদীপ জ্বালানোর আবেদন। রবিবার রাত ন’টায় নয় মিনিটের জন্য বিদ্যুতিক আলো নিভিয়ে মোমবাতি, প্রদীপ. টর্চ অথবা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই ঘোষণার পর থেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। টুইটারে তো রীতিমতো একাধিক ট্রেন্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে। যেমন-্#9baje9minute, #ModiVideoMessage, #मोदी_मदारी_बंदर_कौन। বিকেল তিনটে পর্যন্ত লক্ষাধিক টুইট হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বলছেন, আত্মশক্তি জাগরণ করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। দেশবাসীকে এক সূত্রে বাঁধতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু নেটিজেনদের একাংশের দাবি অবশ্য অন্য। তাঁরা বলছেন, জনতা কারফিউতে মানুষের কতটা সাড়া মেলে দেখতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই লকডাউন ঘোষণা করেন। এবার কি তাহলে ন’মিনিট মানুষে ধৈর্য্য দেখে, লকডাউন সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত লেবেন তিনি? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

[আরও পড়ুন : নমাজের নামে লকডাউনের নিয়ম ভাঙা ‘হারাম’, তবলিঘি জামাতকে একহাত মুসলিম ধর্মগুরুর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement