সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স ৭৩ হতে পারে তবে কোনওভাবেই তাঁকে বৃদ্ধ বলা যায় না। বরং ৩০-এর তরুণের চেয়েও তরতাজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ কথা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদির প্রচারের পরিসংখ্যান। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের প্রচণ্ড গরমেও ৭৫ দিন ধরে দেশজুড়ে ২০৬ নির্বাচনী প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই হিসেবে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে দিয়েছেন তিনি।
গত ১৬ মার্চ ৭ দফায় নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। ১ জুন শেষ দফার নির্বাচন। নিয়ম অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় শেষ হয়েছে প্রচার। এর পরই জানা গেল, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) যেখানে ১৪২ টি জনসভা, রোড শো ও কর্মসূচি করেছিলেন এবার নিজেই ভেঙে দিয়েছেন নিজের রেকর্ড। গত ৭৫ দিনে দেশজুড়ে তিনি ২০৬ জনসভা, রোড শো ও কর্মসূচি করেছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দিয়েছেন ৮০টি ইন্টারভিউ। প্রচার তালিকায় দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য বারের মতো এবারও মোদির সব চেয়ে বেশি নজর ছিল উত্তরপ্রদেশে। এবার সেখানে ৩১ টি র্যালি করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বিহারে ২০, মহারাষ্ট্রে ১৯ ও বাংলায় ১৮। এই রাজ্যেই দেশের ২১০ লোকসভা আসন। ফলে সেখানেই প্রচারে বেশি জোর দেন তিনি। শুধু তাই নয়, মে মাসের ভয়ংকর গরম যখন ৪৫ থেকে ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়ে যাচ্ছে সেই সময় দেশজুড়ে ৯৬ টি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
রিপোর্ট বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশের পালানাডু থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী, এবং শেষ করেন গত ৩০ মে পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে। শুধু নির্বাচনী জনসভা ও রোড শো হিসেব করলে সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে ১৮০। এর পাশাপাশি অন্যান্য কর্মসূচি যোগ করলে সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে ২০৬। একই সঙ্গে জানা যাচ্ছে, ৭৫ দিনের এই হিসেবের বাইরে নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে যদি হিসেব করা হয় তাহলে মার্চ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ১৫ টি জনসভা করেন নরেন্দ্র মোদি। সেই হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেনি শাসক বা বিরোধী শিবিরের অন্য কোনও নেতা না নেত্রী।
মোদির এই অত্যন্ত ব্যস্ত প্রচারসূচি কতদূর সফল তা অবশ্য জানা যাবে আগামী ৪ জুন ইভিএমের বাক্স খোলার পর। আপাতত রাজনীতিতে দাঁড়ি টেনে কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে ৪৫ ঘণ্টার জন্য ধ্যানে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের জন্য ইতিমধ্যেই সেজে উঠছে গোটা কন্যাকুমারী (Kanyakumari)। বিবেকানন্দ রকে নিরাপত্তার জন্য বেনজির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ওই এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ। নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৩ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন। পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরাও ওই দ্বীপ এলাকায় মোতায়েন থাকবেন। প্রস্তুত থাকছে নৌসেনাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.