সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউকে প্রধানমন্ত্রী অনুসরণ করছেন, এর মানে এই নয় যে তিনি কাউকে চরিত্রের শংসাপত্র দিচ্ছেন। টুইটার বিতর্কে সাফাই দিতে গিয়ে এমনই ব্যাখ্যা দিল বিজেপির আইটি সেল।
[চিনা ‘চক্রান্ত’ ফাঁস করলেন সেনাপ্রধান রাওয়াত, চটে লাল বেজিং]
প্রবীণ সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের মৃত্যুর পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ৫৫ বছরের সাংবাদিকের মৃত্যু নিয়ে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়েছে কিছু বিতর্কিত পোস্ট। টুইটারে এই মৃত্যু নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্যও করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, এরই মধ্যে কয়েকজনকে ফলো করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সরব হয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। কেমন করে প্রধানমন্ত্রীর প্রোফাইল এমন কুৎসা ছড়ানো নেটিজেনদের ফলো করতে পারে, এই প্রশ্নই তুলেছিলেন কংগ্রেসের সোশ্যাল ও ডিজিটাল মিডিয়া প্রধান দিব্যা স্পন্দনা। এর প্রতিবাদে #BlockNarendraModi হ্যাশট্যাগও তৈরি করা হয়। কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন প্রায় সব ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানালেও গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখ খোলেননি। এমনকী যে ব্যক্তি কন্নড় সাংবাদিকের হত্যা নিয়ে টুইটারে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেছেন তাকে কেন মোদি ‘আনফলো’ করলেন না তা নিয়ে সরব হন কেউ কেউ। এরই প্রতিবাদে টুইটারে প্রতিবাদীদের কেউ কেউ নরেন্দ্র মোদিকে ‘ব্লক’ করা শুরু করেন। অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে বুঝতে পেরে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে বিজেপির আইটি সেল।
The controversy over PM following people on Twitter is mischievous and contorted: Shri @malviyamit, National Head – Information & Technology pic.twitter.com/8Ss6fgCOj2
— BJP (@BJP4India) September 7, 2017
বিজেপির তথ্য প্রযুক্তি সেলের প্রধান শ্রী অমিত মালভিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে, তা অত্যন্ত বিকৃত ও ক্ষতিকর। মোদি এমন একজন প্রধানমন্ত্রী যিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মুক্ত মনে মেশেন। অনেক সাধারণ মানুষকে ফলো করেন তিনি। তিনি সেই বিরল নেতাদের মধ্যে একজন যিনি বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। এমন অনেককেই মোদি ফলো করেন, যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী কাউকে ফলো করছেন মানেই সেটি তাঁর ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী তো রাহুল গান্ধীকেও ফলো করেন, যিনি তাঁকে ডাকাত ও জোচ্চর বলেছেন। মোদি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও ফলো করেন যিনি তাঁর উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগতভাবে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন।
[নোটবন্দির মতো কড়া সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পায় না সরকার: মোদি]
মোদির হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে অমিতের সংযোজন, এই বিতর্ক একমুখী রাস্তার মতো। রাহুল গান্ধীকে কখনও তেহসিন পুনাওয়ালা কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়নি। যা তিনি স্মৃতি ইরানিকে করেছিলেন। আবার কেজরিওয়ালকেও তাঁর অনুগামীদের নিগ্রহ ও ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন করা হয়নি। তাই এ বিতর্ক সম্পূর্ণ হাস্যকর ও মিথ্যে। তবে এটি বাকস্বাধীনতার একটি উদাহরণও। যদিও কংগ্রেস এ যুক্তি মানতে নারাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.