নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রথামতো লাল কেল্লায় সশরীরে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবছর ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সেই কর্মসূচিতে কোনও পরিবর্তন হবে না বলেই সূত্রের খবর। তার আগে পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি দলীয় কোনও প্রচারে অংশ নেবেন না। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণ শেষে তিনি দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখার পর্ব শুরু করবেন।
দেশে করোনা (Coronavirus) সংকট শুরুর পর বিজেপির কোনও প্রচারানুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেননি মোদি। দলের পক্ষ থেকে সারা দেশ জুড়ে ভারচুয়াল জনসভার কর্মসূচিতেও মোদির নাম নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রথম সারির সমস্ত সদস্য থেকে শুরু করে বাকি নেতা-মন্ত্রীদের প্রায় কারও নামই ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। ব্যতিক্রম শুধু বিজেপির এক নম্বর তারকা প্রচারক মোদিই। দেশে করোনা পরিস্থিতির সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে দলীয় কর্মসূচিতে বেঁধে রাখবেন না, দলের তরফে এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। তবে দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য না রাখলেও জাতির উদ্দেশে ভাষণ থেকে শুরু করে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী ভারচুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।
করোনা আবহে ১৯ মার্চ টিভির পর্দায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে ‘জনতা কারফিউ’ পালনের ডাক দিয়েছিলেন। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি ২৪ মার্চ দেশজুড়ে প্রথম দফার লকডাউন পর্ব ঘোষণা, ৩ এপ্রিল আলো জ্বালিয়ে, থালা বাজিয়ে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানানোর আহ্বান, ১৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার লকডাউন পর্ব ঘোষণা, ১২ মে চতুর্থ দফার লকডাউন সঙ্গে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা এবং এখনও পর্যন্ত সর্বশেষ সদ্য ৩০ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি প্রতি মাসের শেষ রবিবার রেডিওতে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান রয়েছে।
লকডাউন ঘোষণার আগে থেকে নিজের ৭, লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনেই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দপ্তরের সমস্ত কাজ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ও অন্যান্য সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেখানে বসেই সারছেন। যার মধ্যে কিছু বৈঠক আবার ভারচুয়ালি (ভিডিও কনফারেন্সসিং এর মাধ্যমে) হচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে মাত্র একবারই প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সফরে বেরিয়েছেন। মে মাসের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় আমফানের পরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে সাড়া দিয়েই করোনা আবহেও সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরে জুন মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানে সশরীরে হাজির থাকবেন বলে সরকারি স্তরে আলোচনাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হু-হু করে বেড়ে যাওয়ার কারণে সেই সম্ভাবনায় ইতি।
আপাতত জুলাই মাসেও প্রধানমন্ত্রীর সশরীরে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানেও হাজির থাকার সম্ভাবনাই নেই বলেই সূত্রের খবর। স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় কীভাবে হাজির থাকবেন সেই বিষয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজধানী দিল্লির ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবিষয়ে আগে থেকে তোড়জোড়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.